খুলনায় মাদকের মামলায় খুলনার একটি আদালত যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছেন। এছাড়া এ মামলার অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
সোমবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ। রায় ঘোষণার সময় আসমি পলাতক ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি হল, নাহিদুল ইসলাম ওরফে নাহিদ। সে সাতক্ষীরার উত্তর কাটিয়াপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হল, টিংকু, রেখা বেগম ও জাহানারা ওরফে পিপড়া।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ফেন্সিডিল বিক্রির জন্য সাতক্ষীরা থেকে পিকআপ চালিয়ে খুলনায় আসে নাহিদ। খুলনার ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজার সংলগ্ন সোনাপোতা স্কুলের সামনে পৌছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপটি ফুটপাথের ওপর উঠিয়ে দেয় চালক। এ সময়ে একজন পথচারী তখন আহত হন। স্থানীয়রা তখন চালককে মারধর করতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে খুলনা থানার পুলিশ সেখানে পৌছে নাহিদকে হেফাজতে নেয়। পরবর্তীতে সে পুলিশের নিকট স্বীকার করে পিকআপে ৩০০ বোতল ফেন্সিডিল রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফেন্সিডিল জব্দ করে তাকে থানায় নেয় পুলিশ। এ ঘটনায় রাতে তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে এস আই জেলহাস মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন। ২০১২ সালের ১৯ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রাশিদুল ইসলাম আসামি নাহিদসহ আরও ৩ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড