মাদক মামলায় দু’জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের দু’জনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপরদিকে এ মামলার অপর এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে মোহাম্মদ শাহাঙ্গীর আলম ও মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে শাহাব উদ্দিন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী শুভেন্দু রায় চৌধুরী জানান, ২০১২ সালের ১৩ মার্চ বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে খুলনা থানা হেলাতলা মোড়ে চেকপোস্ট বসায়। এ সময় মজিদ ঢালীর চায়ের দোকানের সামনে দুইজন ব্যক্তির গতিবিধি পুলিশের সন্দেহ হলে তাদের দাড়ানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু তারা সেটি না করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। দেহ তল্লাশি করে শাহাঙ্গীরের নিকট থেকে ১০ গ্রাম ও শাহাব উদ্দিনের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন খুলনা থানার পি এস আই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন, যার নং-২৩।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন স্বীকার করেন, তারা জনৈক শহীদ নামের এক ব্যক্তির নিকট এ হেরোইন পৌঁছে দিতে যশোর থেকে খুলনায় এসেছিল। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক শহীদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই বছরের ১ নভেম্বর খুলনা থানার সহকারী কমিশনার মোল্লা আজাদ হোসেন তাদের তিন জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলার আসামি শহীদের বিরুদ্ধে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম