মাঘের বৃষ্টিতে নাকাল যশোরের জনজীবন। সেইসাথে শীতে কাহিল হয়ে পড়ে শ্রমজীবী মানুষেরা। শুক্রবারের সারাদিনের বৃষ্টি দেখে অনেকের কাছেই বর্ষাকাল বলে মনে হয়েছে। মাঘের শেষে টানা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় এ অ লের মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে।
কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাওয়ার পর বৃষ্টির প্রবণতা বেড়েছে। আগামী তিনদিন বৃষ্টির প্রবণতা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টির কারণে দিনের তাপমাত্রা দু’ থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। এদিন সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। বেলা গড়াতেই শুরু হয় বৃষ্টি। সাথে ছিল হিমেল হাওয়া। বাতাস ও বৃষ্টির কারণে বেড়েছে শীত।
এদিকে, দুপুরে বৃষ্টি হওয়ায় শুক্রবার জুম্মার নামাজে মসজিদে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় মুসল্লিদের। যশোরের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে। এদিন যশোর ও আশেপাশের এলাকায় সর্বনিম্ন ১৪ ও সর্বোচ্চ ২২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় পূর্ব-দক্ষিণ দিক দিয়ে ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস ও ২৩ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। আজ শনিবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, যশোরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সাথে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শুক্রবার সকালের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। তবে, কোথাও কোথাও বৃষ্টির মাত্রা বেশি ছিল। দিনভর বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ মানুষ ঘরের বাইরে যেতে পারেননি। শীতের মধ্যে বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। ফসল নিয়ে চিন্তায় দিন পার করেছেন কৃষক। সকাল দশটার পর থেকে যশোরের আকাশ হঠাৎ মেঘলা হয়ে দমকা হাওয়ার সাথে বৃষ্টি নামে। এ কারণে সকালে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া মানুষ বাধাগ্রস্ত হন।
যশোর আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার জেলায় নয় মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মাঝে মধ্যে ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হয় বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
হামিদপুর এলাকার কৃষক ফরিদ উদ্দিন জানান, রোপণকৃত বোরো ধানের গোড়ায় বৃষ্টির পানি জমে পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া হালকা দমকা হাওয়ায় অনেক সময় ধানের চারা উপড়ে যায়। ঠান্ডায় জমিতে নামতে পারছি না। এ কারণে বৃষ্টিতে কি পরিমাণ ক্ষতি হবে বলা যাচ্ছে না।
বৃষ্টির বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক দীপংকর দাস বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। বরং উপকারই হবে। শুক্রবার রাতে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে মসুর ও আলুর সামান্য ক্ষতি হতে পারে।