খুলনা মহানগরীর প্রতিটি এলাকায় হঠাৎ করে বেড়েছে মশার উপদ্রব। দিনের বেলা কিছুটা সহনীয় থাকলেও রাতে মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরীর মানুষ। মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে কয়েকদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন খুলনার বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের নেতারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছর শীতের শুরুতে মশার উপদ্রব বাড়ে। এ বছর নগরজুড়ে খোড়াখুড়ির আবর্জনা, ড্রেনে বাঁধ দিয়ে নির্মাণ কাজ করায় আটকে থাকা পানিতে সহজেই বংশবিস্তার করছে মশা। যার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় মশার উপদ্রব বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় কেসিসির মশক নিধন কার্যক্রম কম। অনেকের অভিযোগ, অনেক এলাকায় সময়মতো মশার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না।
এ অবস্থায় আজ সভা করে নগরীতে মশক নিধন কার্যক্রম আরো জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে কঞ্জারভেন্সী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
সভায় সিটি মেয়র আরো বলেন, মহানগরী এলাকাকে মশক মুক্ত রাখতে দৈনন্দিন বর্জ্য অপসারণ করাসহ চলমান পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। নগরজুড়ে চলমান ড্রেন ও সড়ক উন্নয়ন কাজের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, কাজ চলাকালিণ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে মশার উপদ্রব যাতে না বাড়ে সেদিকেও লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বশীল হওয়ারও নির্দেশ দেন। একই সাথে তিনি মশক নিধন ঔষধ মজুদ রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কেসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো: আব্দুল আজিজ, কঞ্জারভেন্সী অফিসার প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান, সহকারী কঞ্জারভেন্সী অফিসার মোঃ আব্দুর রকিব, নুরুন্নাহার এ্যানী, মোল্লা মারুফ রশীদ, মোঃ জিয়াউর রহমানসহ ওয়ার্ড সুপারভাইজারগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।