মণিরামপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ নিলামে কেনা নিয়ে যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানমকে লাঞ্চিত করাসহ তার পিএসকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এছাড়া, নিলামে অংশ নিতে আসা দুই জনের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার শাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা সন্দীপ ঘোষ, উপজেলা চেয়ারম্যান নাজম খানমের পিএস মনিরুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্রলীগ নেতা সবুজ কর। আহতদের প্রথমে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২শ’ ৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করা হয়।
স্থানীয় চালুয়াহাটী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পান্না খান জানান, দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের ৩৭টি গাছ বিক্রয়ের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ সরকারী কয়েকজন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর কুমার শর্মা বলেন, বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। প্রাচীর নির্মাণে বিদ্যালয়ের মেহগনি গাছসহ ৩৭টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সে মোতাবেক প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫শ’ টাকা ভিত্তি মূল্য ধরে গাছের নিলাম কার্যক্রমের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বিদ্যালয় মাঠে প্রকাশ্যে নিলাম ডাকা হয়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেহেলী ফেরদৌস বলেন, তারা নিলাম কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকায় বাইরের ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না। প্রায় ৩লাখ ২৬ হাজার টাকায় উক্ত গাছ নিলামে কিনেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা দীপংকর।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ খোরশেদ আলম চৌধূরী বলেন, নিলামে অংশগ্রহন ইচ্ছুকদের নিলামে অংশ নিতে একাধিকবার মাইকে ঘোষণা দেয়া ছাড়াও কেউ বাঁধা দিলে সাথে সাথে প্রশাসনকে অবহতি করার জন্য বলা হয়। কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে গোলযোগের বিষয় কেউ কিছু জানাননি।
জানতে চাইলে, মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম দাবী করেন, নিলামে অংশ নিতে গেলে পৌর যুবলীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, বিল্লাল হোসেন, আইয়ুব পাটোয়ারি ও আলমগীর হোসেনসহ শতাধিক ব্যক্তি তার উপর আক্রামণসহ তার সাথে থাকা নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়। তিনি আরো দাবী করেন, ঘটনার সময় মাত্র কয়েক গজ দূরে পুলিশ দাড়িয়ে থাকলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
খুলনা গেজেট/কেএম