যশোরের মণিরামপুরে শুক্রবার তিনটি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়েছেন নগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস (৭০) ও বিষ খেয়েছেন বিল্লাল হোসেন (২৫) নামে দু’ব্যক্তি। এছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি চাপা পড়ে হাসপাতালে মারা গেছেন মোমিনুর রহমান (২২) নামে এক যুবক। মণিরামপুর থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মণিরামপুর থানার এসআই যোগেশ মণ্ডল বলেন, দেহে ক্যানসার বাসা বাঁধায় শারীরিক ও মানসিক কষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে ঘর থেকে বেরিয়ে যান উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের বলহরি বিশ্বাসের ছেলে নগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। এরপর তিনি বাড়ির পাশের একটি আমগাছের ডালে গলায় ফাঁস দেন। শুক্রবার সকাল ছয়টার পর স্বজনরা তার লাশ ঝুঁলতে দেখে থানায় খবর দেন। এরপর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বজনদের অনুরোধে সরকারি নিয়ম মেনে লাশ সৎকারের অনুমতি দেন।
ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ওয়াসিম আকরাম বলেন, ১৫/১৬ দিন আগে মারা যান উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন। এতে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন তার ছেলে বিল্লাল হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে নিজেও বিষপান করেন বিল্লাল। স্ত্রী বিষ বুঝতে পেরে ফেলে দেন। কিন্তু বিল্লাল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটির দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, পৌর এলাকার কামালপুরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করছিলেন পশ্চিম ভরতপুর গ্রামের বজলু সরদারের ছেলে মোমিনুর রহমান। এ সময় তিনি অন্য শ্রমিকদের সাথে বাঁশ দিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি ওপরে তুলছিলেন। হঠাৎ বাঁশ পিছলে খুঁটির নিচে চাপা পড়েন মোমিনুর। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওইসময় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখান থেকে মোমিনুরকে খুলনায় রেফার করেন চিকিৎসক। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি মারা যান।
খুলনা গেজেট/ টি আই