সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন নিয়ে চলছে তুলকালাম কান্ড। গত আট মাসের ব্যবধানে সংগঠনটির কমিটি তিন বার পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবারই কমিটি গঠন নিয়ে লাখ লাখ টাকার গোপন লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সর্বশেষ সোমবার(১১ এপ্রিল) শ্রম আদালতের নির্দেশনায় আহবায়ক এজাজ আহমেদ স্বপনকে সরিয়ে মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করে চার সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সমঝোতায় করা ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দাখিল করেন সিঅ্যান্ড এফ সদস্য এজাজ আহমেদ স্বপন। এই রীটের প্রেক্ষিতে শ্রম আদালতের নির্দেশনায় গত ২০ নভেম্বর ২০২১ তারিখে এজাজ আহমেদ স্বপনকে আহবায়ক এবং আশরাফুজ্জান আশু, মিজানুর রহমান, মাকসুদ খান ও রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীকে সদস্য করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে এজাজ আহমেদ স্বপন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে ব্যর্থ হন। ভোটার তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, ৪৮ লাখ টাকার তহবিল তছরুপ, দূর্নীতি এবং সঠিক ভোটার তালিকা করে যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়। এ ব্যাপারে শ্রম আদালতে অভিযোগ করা হয়। শ্রম আদালত এজাজ আহমেদ স্বপনকে ২৩ মার্চ এক চিঠিতে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের নির্দেশনা দেয়। তা সত্ত্বেও গত ২৯ মার্চ আহবায়ক কমিটির ৪ সদস্য এক বৈঠকে বসে এজাজ আহমেদ স্বপনকে অপসারন করে। পরে ১১ এপ্রিল শ্রম আদালতের নির্দেশনায় মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করে এজাজ আহমেদ এর স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
এবিষয়ে এজাজ আহমেদ স্বপন অভিযোগ করে বলেন, গঠনতন্ত্র ভঙ্গকরে তাকে সরানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ২০ লাখ টাকার গোপন লেনদেন হয়েছে।
এদিকে ভোমরা সিএ্যান্ডএফ এসোসিয়েশনের বারবার কমিটি পরিবর্তন নিয়ে সাধারণ সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।