যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদীতে ডুবে যাওয়া সার বোঝাই কার্গো জাহাজ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি । দেখা মেলেনি উদ্ধার কাজের কোন অগ্রগতি । বিষয়টি নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড় । কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে সচেতন মহল দাবি করেছেন ।
নওয়াপাড়া পীরবাড়ী ঘাট এলাকার বাসিন্দারা জানান, বুধবার সাড়ে ১২টার সময় এ এলাকায় এনভি শারিব বাধন নামক লাইটার জাহাজটি ৬৮০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে ডুবে যায়। প্রথমে কয়েক জন শ্রমিক উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকলেও পরে তাদেরকে আর দেখা যায় নি ।
ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ এনভি শারিব বাধন’র মাষ্টার সজিব হোসেন জানান, চট্রগ্রাম বন্দর থেকে ২১ জানুয়ারী ৬৮০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বোঝাই করে ২৫ জানুয়ারী ভোররাতে টোটাল ইমপোটার উদ্দেশ্যে নওয়াপাড়ার ভাটপাড়ায় আসে লাইটারটি।নওয়াপাড়া ফেরিঘাটের সঞ্জয় ট্রেডিং সার আনলোড না করার কারণে ভাটপাড়ায় ৪দিন অবস্থান করতে হয়।পরে সঞ্জয় ট্রেডিং অফিস থেকে বেঙ্গল মিল এলাকায় ঘাটে আনতে বলা হলে আমরা বেঙ্গল মিল এলাকার ঘাটে আনি । কিন্তু সেখানে কোন প্রকার আন-লোডের ব্যবস্থা না থাকায় জাহাজ থেকে কিছু মাল নামানোর ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়। কিন্তু তারা কোন কর্ণপাত করেননি। পরে জাহাজটি পীর বাড়ি ঘাটে নিয়ে যায় । এ সময় জাহাজ হেলে পড়ে । রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হঠাৎ জাহাজের তলা ফেটে যায়। সেখানে জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজে থাকা ইউরিয়া সারের মূল্য প্রায় ১কোটি ২ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন কার্গো জাহাজের মাস্টার ।
লোড আনলোডের কাজে নিয়োজিত মেসার্স সঞ্জয় ট্রেডিং এর মালিক সঞ্জয় কুমার জানান, উদ্ধার কাজের চেষ্টা চলছে এবং এ কাজে সহযোগিতা করছে বি আই ডব্লিউ টি এ।
এবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, উদ্ধার কাজের চেষ্টা চলছে এবং প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই