ব্যতিক্রমভাবে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করলেন ১৮ জন তরুণ-তরুণী। এদিনে নয় জোড়া তরুণ-তরুণী ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে হাতিতে চড়ে গণ বিয়েতে অংশ নেন। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে। খবর রয়টার্স।
নববধূদের একজন ৩৬ বছর বয়সী নারুমন কমগপানোয় বলেন, ‘এই অনুষ্ঠান পবিত্র, তাই সবাই হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে চায়।’ তার কথায় থাইল্যান্ডে হাতিকে গৃহস্থালি ও নাগরিক সঙ্গী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাশাপাশি জাতীয় সমৃদ্ধির প্রতীকও মনে করা হয় এই প্রাণীকে।
এদিন দেশটির রাজধানী ব্যাংকক থেকে প্রায় দুই ঘণ্টার দূরের চোনবুরি প্রদেশের নং নুচ ট্রপিক্যাল গার্ডেনের মধ্য দিয়ে ৯টি দম্পতিকে বহনকারী হাতির বহর ধীর গতিতে এগিয়ে যায়। সেখানে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে নৃত্যশিল্পীরা শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন।
নববিবাহিত দম্পতিদের এই বহরে স্থানীয় একজন সরকারি কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও হাতির উপর বসেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। ৩৬ বছর বয়সী একজন বর জিরাত সোমপ্রাসাং বলেন, ‘আমি খুব খুশি। আজ ভালোবাসার দিন, তাই এদিন আইনগতভাবে স্ত্রীকে পেয়ে ভালো লাগছে।’
প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ডের জাতীয় পশু হাতি। একসময় সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে থাই পতাকায় একটি সাদা হাতির ছবি ছিল।
খুলনা গেজেট/এনএম