ভারত-বাংলাদেশের মানুষের মাঝে এক ও অভিন্ন আত্মার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ইন্দ্র জিৎ সাগর খুলনার পাইকগাছার খালিয়ারচক হরিগুরু-গোপাল চাঁদ সেবাশ্রমে (২৫-২৭ নভেম্ব) অনুষ্ঠিতব্য ৩ তিনব্যাপী দক্ষিন-পশ্চিম আঞ্চলিক মতুয়া মহাসম্মেলনের উদ্বোধনকালে সম্মানিত অতিথি’র বক্তব্যে একথা বলেন।
সহকারী হাই কমিশনার বলেন, পাশ্ববর্তী অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ও ভারতের দূরত্ব খুব কম। সবচেয়ে বেশী ৪৩শ কিঃ মিটার সিমান্ত রেখা। ফলে বংশ পরম্পরায় ধর্মীয় বন্ধন, চিকিৎসা সেবা সহ দু’শের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারন বৃদ্ধি পেয়েছে। পারস্পরিক সফরে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরী হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আয়োজক কমিটির সভাপতি মতুয়াচার্য্য শিবপদ মন্ডলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে পরম আর্শীবাদক মহা-মতুয়াচার্য্য শ্রী সুব্রত ঠাকুর ও ভারতের শিক্ষারত্ম পদ্মশ্রীতে ভূষিত কাজী মাসুদ আক্তার বলেন, মতুয়া মতাদর্শ, ধর্ম দর্শন জাত-পাতের বেড়াজালের উর্ধে ও খুবই সহজ সরল। মতুয়া প্রেমের ভক্তি ও ভালো বাসায় মানুষকে সহজে কাছে টেনে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে। যুগের পর যুগধরে এ মতাদর্শের প্রচার-প্রসার ঘটায় বাংলাদেশও ভারত সহ বিশ্বে মতুয়া ভক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু মাঝে মধ্যে দু’দেশে ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জাত-পাতের উন্মাদনা ছড়িয়ে সুসম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু এখানে রহিম-করিম বা ওপারে সাধন-মোহনরা তা প্রতিহত করে একে অপরের পাশে দাঁড়ায়।
শ্রীধাম লক্ষ্মী খালীর মতুয়াচর্য্য শ্রী সাগর সাধু ঠাকুরের পরিচালনায় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরোও বক্তব্য রাখেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি’র সংস্কৃতি মোর্চার যুগ্ম সম্পাদক শ্রীমতি দেবরতী মিত্র, খুলনা জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম রবি, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা রতন মিত্র, মতুযাচার্য্য ধ্রবজ্যোতি সহ অনেকে।
উল্লেখ্য, তিনব্যাপী মতুয়া মহাসম্মেলন উপলক্ষে ধর্মীয় আলোচনা সভা, দীক্ষাদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় যাত্রাপালা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।