খুলনা, বাংলাদেশ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : আপিল বিভাগে ফের শুনানি ২৬ মে
  তিন দফা দাবিতে আজও রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
  এনবিআর বিলুপ্ত করে দু’টি বিভাগ করার প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বিতীয় দিনের মতো কলমবিরতি চলছে

ভারতীয় কবুতর, ময়না ও মুরগি প্রবেশরোধে খুলনাঞ্চলের নৌ-স্থল বন্দরে সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের হিমালয় ও ক্যারালায় বার্ড-ফ্লু সংক্রমণ দেখা দেয়ায় সে দেশ থেকে কবুতর, ময়না পাখি, কোয়েল ও মুরগির প্রবেশরোধে দক্ষিণাঞ্চলের নৌ ও স্থল বন্দরে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর। চিঠি প্রাপ্তির পর বেনাপোল, ভোমরা ও দর্শনা স্থলবন্দরে এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এ রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার শংকা রয়েছে।

সার্বিক বিবেচনায় এ রোগের সংক্রমণ, বিস্তার রোধ এবং জনসংখ্যা সুরক্ষায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য ও নৌ-মন্ত্রণালয়কে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় কবুতর, ময়না কোয়েল ও মুরগি যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে নজর রাখতে চিঠি দিয়েছে প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়। পাশর্^বর্তী কোনও দেশে রোগ হলে মন্ত্রণালয় থেকে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।

প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম মোল্লা এ প্রতিবেদককে জানান, গত ১২ জানুয়ারি মহা-পরিচালকের চিঠি পাওয়ার পর বিভাগের ১১ হাজার ছয়শ’ ৪৮টি মুরগির খামারকে নজরদারিতে আনা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পোল্ট্রি খামারে লক্ষণ পাওয়া গেলে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাদের জানাতে বলা হয়েছে। লক্ষণ ভিত্তিক সন্দেহজনক পাওয়া গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হবে। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে বার্ড-ফ্লু দেখা দেয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিনটি মন্ত্রণালয়ে দেয়া চিঠিতে বলা হয়, দেশের পোল্ট্রি সম্পদকে রক্ষার্থে সর্বত্র গুরুত্ব দিতে হবে। এ ব্যাপারে নৌ-পরিবহণ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারে। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর মন্ত্রণালয়গুলোতে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেন, দেশের সীমান্তবর্তী জেলাসহ অন্যান্য জেলায় প্রতিদিন বার্ড-ফ্লু রোগের অনুসন্ধান এবং সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সরকারি ও বেসরকারি খামারে নিবিড় তত্ত্বাবধায়নের জন্য চিঠিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। খামারে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খামারিদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একইসাথে টিকার মজুদ বাড়াতেও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

 

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!