ভারত থেকে আমদানিকৃত বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর সেডে ফিশ মিলের ভেতরে ঘোষণা বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ শুটকি মাছের চালান জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
পন্যচালানটি বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর সেড থেকে পন্য চালানটি জব্দ করেছে কাস্টমস।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, শামীম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৫০ মেট্রিক টন ফিশ মিল ঘোষণা দিয়ে পণ্য চালানটি আমদানি করেন। পণ্য চালানটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ইনোভেটিভ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পন্য চালানটি কাস্টম থেকে ছাড় করণের জন্য প্যারেন্টস ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সেন্টার নামে এক সি এন্ড এফ এজেন্ট বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেছেন।
ভারতীয় তিনটি ট্রাকে করে গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পন্য চালানটি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। যার ট্রাক নম্বর WB -25-F-7723, WB-25-C-1241ও WB-25-F-1692।
বেনাপোল কাস্টমসের পরীক্ষন গ্রুপের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, বুধবার দুপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে ডেপুটি কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশ ক্রমে ফিশ মিল ঘোষনায় আমদানি করা পন্য চালানটি পরীক্ষন করা হয়। পরীক্ষণ করে তিনটি গাড়িতে ৫০ টন ফিশ মিলের মধ্যে ঘোষণা বহির্ভূত প্রায় ৭ টন শুটকি মাছ পাওয়া যায় । মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ফিশ মিলের ভিতরে শুটকি মাছ আমদানি করায় পন্য চালানটি সাময়িক জব্দ করা হয়েছে। ফিশ মিলের কোন শুল্ক কর দিতে হয় না। তবে শুটকি মাছের শুল্ককর ৫৮ শতাংশ। বেনাপোল কাস্টমস হাউজে প্রতি কেজি শুটকি মাছের শুল্কায়ন মূল্য ২ ডলার এবং শুল্কহার, ৫৮ শতাংশ। ঘোষণা বহির্ভূত শুঁটকি মাছের মূল্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পন্য চালানটিতে ডিউটি ফাঁকি দেয়া হচ্ছিল প্রায় ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। পণ্য চালানে ঘোষণা বহির্ভূত শুটকি মাছ আমদানি করায় পন্য চালানটি সাময়িক জব্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সি এন্ড এফ এজেন্ট প্রতিনিধি তারেক বাবুল জানান , আমদানিকৃত পণ্য চালানটি ফিশ মিল। এখানে কোন শুটকি মাছ নেই । ল্যাবে পরীক্ষণ করলেই প্রমাণিত হবে এটা ফিশ মিল নাকি শুটকি মাছ। এখানে আমার বা আমার আমদানি কারকের কোন অপরাধ নাই । আমদানীকৃত পণ্যচালানে শুল্ক ফাঁকির কোন প্রবণতা আমাদের নাই।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান আমদানিকৃত ফিশ মিলের ভিতরে ঘোষণা বহির্ভূত শুটকি মাছ পাওয়াই পন্য চালানটি সাময়িক আটক করা হয়েছে। পন্য চালানে বিপুল পরিমাণে শুটকি মাছ পাওয়া গেছে। জব্দকৃত পণ্যচালনে প্রায় ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁসি দেয়া হচ্ছিল। কাস্টমস আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে