ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খুলনা নগরীর নিম্নাঞ্চল। বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েন মানুষ। এছাড়া রাত থেকে বৃষ্টি হওয়া খুলনার সড়কগুলোতে রিকসা, ইজিবাইকসহ যান চলাচল একেবারে কম। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। জরুরী প্রয়োজনে যারা বাইরে বের হচ্ছেন, পড়ছেন বিপাকে। পরিবহন না পেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ও কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, রোববার রাত থেকেই খুলনায় বৃষ্টি শুরু হয়, সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। যা এখনও চলছে। ভোর ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে অধিকাংশ সড়কই পানির নিচে। বৃষ্টিতে খুলনা নগরীর শান্তিধাম মোড়, বাইতিপাড়া, লবণচরা, হরিণটানা, টুটপাড়া, পূর্ ও পশ্চিম বানিয়া খামার, চানমারী, মোল্লাপাড়া, বাস্তুহারা কলোনীসহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি এবং সড়কের পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানির নিচে।
পূর্ব বানিয়াখামারের জাহিদুল ইসলাম সাগর জানান, বৃষ্টিতে পানির রাইস মিল পানিতে তলিয়ে যায়। মিলের মধ্যে রাখা চাল ভিজে গেছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মখর্তা আবদুল আজিজ জানান, রূপসা নদীতে পানি েবেড়ে যাওয়ায় শহরের পানি নামতে সময় লাগছে। কেসিসির কর্মীরা পানি অপসারণে কাজ করছে।