সিলেটে দফায় দফায় বৃষ্টির বাধায় পড়েছে বাংলাদেশ ও ভারতীয় মেয়েদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। সে কারণে শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচটিতে নির্ধারিত ওভারের খেলা হয়নি। বাংলাদেশের রানতাড়ায় শুরুতে মারুফা আক্তারের বলে সফরকারীরা হোঁচট খেলেও, জয় পেতে অসুবিধা হয়নি ভারতের। মূলত বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই দয়ালন হেমলতার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে টাইগ্রেসদের চেয়ে ডিএলএস মেথডে ১৯ রানে এগিয়ে ছিল হারমানপ্রীত কৌরের দল। বৃষ্টি না থামায় ওই ব্যবধানে তারা সিরিজের দ্বিতীয় জয় পেল।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের ৪৪ রানে হারিয়ে এগিয়ে ছিল হারমানপ্রীতরা। সেই ব্যবধানকে সমতায় রূপ দিতে আজ (মঙ্গলবার) ভালো শুরু করেছিল টাইগ্রেসরা। যদিও শেষের ব্যাটিংয়ে তারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য দিতে পারেনি। ওপেনার মুর্শিদা খাতুনের সর্বোচ্চ ৪৬ রানের সুবাদে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান তোলে বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার আগে ভারতের সংগ্রহ ছিল ৫.২ ওভারে ১ উইকেটে ৪৭ রান।
রান তাড়ায় স্বাগতিক পেসার মারুফার দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই গোল্ডেন ডাক নিয়ে আউট ভারতীয় ওপেনার শেফালি ভার্মা। এর মাধ্যমে তিনি ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক ডাকের (শূন্য) রেকর্ড গড়েন। এর আগে অধিনায়ক হারমানপ্রীত সর্বোচ্চ ৬ ম্যাচে ডাক মেরেছিলেন। দ্রুত উইকেট হারালেও সফরকারীদের বিপদ বাড়তে দেননি হেমলতা। মারুফা বাদে বাংলাদেশি কোনো বোলার পাত্তা পাননি তার কাছে। সুলতানা খাতুন, ফারিহা তৃষ্ণা ও নাহিদা আক্তাররা ১০–এর বেশি গড়ে রান দিয়ে রানরেট বাড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয়দের।
ভারতের সংগ্রহ ৪৭, যার ৪১ রানই এসেছে হেমলতার ব্যাটে। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ডিএলএস মেথডে ঢের এগিয়ে যায় সফরকারীরা। মাত্র ২৪ বলের ইনিংসে হেমলতা ৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। আরেক অপরাজিত ব্যাটার স্মৃতি মান্দানা করেন ৫ রান। বৃষ্টিতে আর খেলা মাঠে না গড়ানোয় তাতেই তাদের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উইকেটশিকারি মারুফা ১টি শিকার ধরেন ১১ রান খরচায়।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই চার হাঁকিয়ে শুরু করা দিলারা আক্তার ভালো বড় সংগ্রহের আভাস দিয়েছিলেন। তবে তিনি ইনিংস বড় করতে পারলেন না। ৬ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার। পরে তিনে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন সোবহানা মোস্তারি। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। ৪ বাউন্ডারিতে ১৫ বলে ১৯ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এরপর অবশ্য নিগার সুলতানা জ্যোতি দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু আজ ব্যর্থ হয়েছেন গত ম্যাচে ফিফটি করা অধিনায়ক।
জ্যোতি ফেরার পর ধ্বস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। ৬৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো বাংলাদেশ ৬৯ রান তুলতেই হারায় পঞ্চম উইকেট। এরপরই নামে বৃষ্টি। ঘণ্টা খানেক খেলা বন্ধ ছিল। কিন্তু ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমেনি। নতুন করে খেলা শুরু হলেও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। এক প্রান্তে মুর্শিদা দাঁড়িয়ে থাকলেও আরেক প্রান্তে ছিল ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। মুর্শিদা ৪৯ বলে করেছেন ৪৬ রান। ১৭.২ ওভারে ১১০ রান করা বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১১৯ রানে।
খুলনা গেজেট/এএজে