সাতক্ষীরার সুস্বাদু আম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে আম উৎসবের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সোমবার (১৫ মে) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কালেক্টরেট পার্কে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। সেখানে হিমসাগর, ন্যাংড়া, গোবিন্দভোগ, আম্রপালি ও স্থানীয় জাতসহ মোট ৩৩ প্রজাতির আমের প্রদর্শনী করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্ত খামার বাড়ির উপ-পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম শফিউল আজম, সদর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ জোহরা, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন, সদর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সহিদুর রহমান প্রমুখ।
আয়োজক কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিশ্বব্যাপী সাতক্ষীরার সুস্বাদু আমের বিভিন্ন প্রজাতি ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন। আর আগত দর্শণার্থীরা বলছেন, এরআগে ১০ থেকে ১২ প্রজাতির আম তারা দেখেছেন। এমন তেত্রিশ প্রজাতির আম আগে কখনও তারা দেখেননি। দর্শণার্থীদের দাবি আগামীদিন গুলোতে রাসায়নিক মুক্ত এবং পরিপক্ষ আম জেলা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হয় সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রদর্শনী শেষে উক্ত আম দিয়ে জুস বানিয়ে আগত অতিথি ও দর্শনার্থীদের খাওয়ানো হয়। পাশাপাশি আমের বিভিন্ন ধরণের চাটনিরও প্রদর্শণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক এসময় বলেন, সাতক্ষীরার আম একটি ব্যান্ড। যেহেতু সাতক্ষীরার আম দেশের অন্য যে কোন জেলা থেকে আগে ভাগে পাকে সে কারণে এখানকার আমের চাহিদাও রয়েছে দেশে এবং বিদেশে। তাই সাতক্ষীরার বিষমুক্ত আম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশর বিভিন্ন জেলায় ও বিদেশে রপ্তানি করার লক্ষে সকলকে যার যার জায়গা থেকে সহযোগিতা করতে হবে। বিশেষ করে কৃষি বিভাগ ও চাষিদের সতর্ক থাকতে হবে আমের গুনগত মান ঠিক রাখার জন্য। তাহলে সাতক্ষীরার আমের যে সুনাম বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে সেটি অক্ষুন্ন থাকবে।
আম উৎসবে সংগৃহীত আমের মধ্যে রয়েছে, হিমসাগর, ম্যাটরাজ তোতা, কাচামিঠা, গোপালভোগ, কৃষাণভোগ, থাইল্যান্ড পাইথন, মিছরিদানা, গৌড়মতি, কাটিমন রেড পালমার, চ্যাটা, মল্লিকা, হাড়িভাঙ্গা, গোবিন্দভোগ, কিউজাই, ব্রুনাই কিং, রাণীপছন্দ, আ¤্রপলি, রাণীভোগ, গোলাপখাস, বেলখাস, কালাপাহাড়, ল্যাংড়া, বারী আম ১১, চিয়াংমাই, ছোটসাই, গোলাপীধোপা, সীতাভোগ, ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকী (সূর্যডিম), বোম্বাই, ফজলি প্রমুখ।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এবারই প্রথম এমন ভিন্নধর্মী আয়োজন করে মানুষের মাঝে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড