খুলনা মহানগরীর ৪ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনে তোড়জোড় চলছে। ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব নির্বাচিত করবেন। ৪টি থানার আহ্বায়ক হতে বিএনপির ১০ নেতা আবেদন করেছেন। সদস্য সচিব পদে আবেদন পড়েছে ৭ জন। ৪ থানার ৭৭৪ জন কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।
অবশ্য খানজাহান আলী থানার আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব পদে একটি করে আবেদন জমা পড়েছে।
এদিকে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের জন্য মঙ্গলবার রাতে খাসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বেগম রেহানা ঈসা, সদস্য এড. নুরুল হাসান রুবা ও এড. মোল্লা মাসুম রশীদ।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ি মনোনয়নপত্র জমাদানকারীরা হলেন, খুলনা সদর থানায় আহবায়ক পদে তিনজন যথাক্রমে কে এম হুমায়ুন কবির, বিএম তানভীরুল আজম, আব্দুর রাজ্জাক। এ থানায় সদস্য সচিব পদে মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দুইজন মোল্লা ফরিদ আহমেদ ও খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক।
সোনাডাঙ্গা থানায় আহবায়ক পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন শেখ জামাল উদ্দীন, হাফিজুর রহমান মনি, শেখ ফারুক হোসেন ও আশফাকুর রহমান কাকন। এ থানায় সদস্য সচিব পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনজন মো. মঈদুল হক
টুকু, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ ও রেমা. তারিকুল ইসলাম তারিক।
দৌলতপুর থানায় আহবায়ক পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন শাহাজী কামাল টিপু ও মো. মুরশীদ কামাল। এ থানায় সদস্য সচিব পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন একজন শেখ ইমাম হোসেন।
খানজাহান আলী থানায় দুটি পদে দুইজনই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আহবায়ক পদে কাজী মিজানুর রহমান ও সদস্য সচিব পদে আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস।
খুলনা থানার ৯টি ওয়ার্ডে মোট কাউন্সিলর ২৭৯জন, সোনাডাঙ্গা থানার ৭টি ওয়ার্ডে ২১৭, দৌলতপুর থানার ৬টি ওয়ার্ডে ১৮৬ জন ও খানজাহান আলী থানার দুটি ইউনিয়ন ও একটি ওয়ার্ড নিয়ে ৯৩জন কান্সিলর ভোটের মাধ্যমে আহবায়ক ও সদস্য সচিব নির্বাচিত করবেন।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ি আগামী ১২ মে খুলনা সদর থানা, ১৪ মে দৌলতপুর থানা, ১৯ মে সোনাডাঙ্গা থানা ও ২০ মে
খানজাহান আলী থানার বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা গেজেট/হিমালয়