খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিএডিসির সাবেক গুদাম কর্মকর্তার ১৪ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে সার আত্মসাতের দায়ে বিএডিসির সাবেক সহকারী গুদাম রক্ষক আজগর আলীকে পৃথক ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে আত্মসাতকৃত সারের তিন কোটি ৭৪ লাখ ৮১ হাজার ১৬ টাকা ৩২ পয়সা অর্থদন্ড করে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজগর আলী যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার আরাজী সিলিমপুর গ্রামের আরশাদ আলী মোল্লার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম। এ মামলার অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেয়া হয়েছে।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, যশোর বিএডিসির তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক বর্তমানে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত ফাহাদ আল-মামুন ও অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের মেছের আলী মল্লিকের ছেলে সারের ডিলার মমিন উদ্দিন ও সার ব্যবসায়ী এম এ রাশেদ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, যশোরের চাঁচড়ায় বিএডিসির সার গুদামে সহকারী গুদাম কর্মকর্তা ছিলেন আজগর আলী। তিনি ২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত অবস্থায় ৩২০ মেট্রিকটন এমওপি সার আত্মসাৎ করেন। যার তৎকালীন মূল্য ৭৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৬০ টাকা। এ ঘটনায় বিএডিসির তৎকালীন যুগ্ম পরিচালক (সার) রতন কুমার মন্ডল ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী। তদন্তকালে এজাহারভুক্ত আসামি আজগর আলীকে আটক করা হয়। তার দেয়া জবানবন্দিতে উঠে আসে অপর তিন আসামির নাম। এছাড়া, তদন্তকালে টিএসপি, এমওপি এবং ডিএপি মিলিয়ে মোট ৮৪৪ দশমিক ৮০ মেট্রিকটন সার আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। যার মূল্য ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৮১ হাজার ১৬ টাকা ৩২ পয়সা। এ ঘটনায় তদন্তে চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন দুধক কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে আসামি আজগর আলীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে দন্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড, ৪২০ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৪ মাসের কারাদন্ড এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দুই বছরের কারাদন্ড ও তিন হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। সকল ধারার দন্ড একসাথে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া, তাকে আত্মসাতকৃত সারের তিন কোটি ৭৪ লাখ ৮১ হাজার ১৬ টাকা ৩২ পয়সা রাষ্ট্রিয় কোষাগারে জমা দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আসামি এমএ রাশেদ মামলা চলাকালে মারা যান।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!