খুলনা, বাংলাদেশ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে এজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯১
  রাজসাক্ষী হিসেবে সহায়তার শর্তে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা : ট্রাইব্যুনাল

বাঘ শিকারী সাতক্ষীরার পচাব্দী গাজীর বন্দুক দেখলেন বিজিবি মহাপরিচালক

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের পচাব্দী গাজী ৫৭ টি মানুষ খেকো বাঘ শিকার করে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ বাঘ শিকারি হিসেবে সর্বত্র খ্যাতিমান। তিনি যে বন্দুক দিয়ে শিকার করতের সেই ঐতিহাসিক বন্দুকটিকে স্বচক্ষে দেখতে বুধবার (৩ মার্চ) সাতক্ষীরার শ্যামনগর ঘুরে গেলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম সাফিন।

বিজিবি মহাপরিচালক হেলিকপ্টার থেকে নেমে সরাসরি শ্যামনগর চলে যান। এসময় তাকে অভিনন্দন জানান সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম ও নীলডুমুরস্থ ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়াসিন চৌধুরী।

সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় জন্মগ্রহণ করায় বন্যজীবন ছিল পচাব্দী গাজীর জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। শিকারের জন্য উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি লাভ করেন পিতার ডাবল বেরেল মাজল-লোডিং বন্দুকটি। বিজিবি মহাপরিচালকনি শ্যামনগর থানায় রক্ষিত ঐতিহাসিক সেই বন্দুকটি দেখেন। বিখ্যাত বাঘ শিকারী পচাব্দী গাজী এই বন্দুক দিয়ে মোট ৫৭ টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার হত্যা করেছিলেন। মানুষ খেকো এইসব বাঘগুলিকে হত্যা করার জন্য পচাব্দী গাজী বিভিন্ন সময়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার পচাব্দী গাজীকে বেঙ্গল টাইগার নামে অভিহিত করেছিলেন। পচাব্দী গাজীর মৃত্যুর পর তার ব্যবহৃত বন্দুকটি উত্তরাধিকারসূত্রে তার ছেলে আবুল হোসেন পাওয়ার পরে বন্দুকটি রিনিউ না করার কারণে শ্যামনগর থানার অস্ত্রাগারে দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে পড়ে আছে। ঐতিহাসিক এই বন্দুকটি একনজর চোখে দেখার জন্য বিজিবি মহাপরিচালকের এই সফর।

এ সময় তিনি বিজিবির অফিসার ও সৈনিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সীমান্ত রক্ষায় তাদেরকে আরো তৎপর হতে হবে। মাদক, নারী পাচার ও চোরাচালানের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!