বাগেরহাটে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিকাদানের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ।
এ সময় বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মোছাব্বেরুল ইসলাম, বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বখসি, বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ মিরাজুল করিমসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন বাগেরহাট সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ হাজার ফাইজারের টিকা মজুদ রয়েছে বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগে। টিকা মজুদ পর্যন্ত এই টিকা দান চলবে।
এর আগে সকাল দশটা থেকেই শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহণের বাগেরহাট সদর হাসপাতাল চত্বরে ভিড় জমায়। প্রথম দিনে টিকা পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
দিয়ানা, তাহসিন মেহেজাবিন রীথি, ইমনসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, টিকা নেওয়ার পরে আমাদের কোন সমস্যা হয়নি। এখন আমরা নির্ভয়ে স্কুলে যেতে পারব।
শুধু শিক্ষার্থী নয়, টিকাদান কার্যক্রমে উচ্ছ্বসিত অভিভাবকরাও। তারা বলেন, আমরা নিজেরা টিকা নিয়েছি। বাচ্চাদেরও টিকা দেওয়া হল, এখন পরিবারের সকলে মিলে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারব।
শিক্ষার্থীদের টিকাদান নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটিকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মোছাব্বেরুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকাদান নিশ্চিত করতে আমরা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকেও বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে পরিচালনা কমিটি সদস্যরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে আসবেন।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১২ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা ফাইজারের ৫০ হাজার টিকা পেয়েছি। টিকাদান শুরু হয়েছে। আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে সুষ্ঠুভাবে টিকাদান সম্পন্ন করতে পারব।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, এর আগে আমরা প্রায় ১২ হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে। সব শ্রেণি পেশার মানুষকে টিকার আওতায় আনতে বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম