বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ’র (বাস্থবক) এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক ২০২১-২২ নির্বাচনে জাহাঙ্গীর-সাগির সম্মিলিত পরিষদ বিজয় অর্জন করেছে। এই নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম ও সাইফুল ইসলাম সাগির সম্মিলীত পরিষদ এবং মেহেদী হাসান ও ফিদা হাসান সম্মিলিত ঐক্য পরিষদের দুটি প্যানেল নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন।
এতে সভাপতি পদে জাহাঙ্গীর আলম ৫০ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মেহেদী হাসান পেয়েছে ৪০ ভোট। অপরদিকে একই প্যানেলের সাইফুল ইসলাম সাগির সাধারন সম্পাদক পদে ৬০ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ফিদা হাসান পেয়েছেন ৩১ ভোট। বাস্থবক কর্তৃপক্ষ’র এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন এর ১৩টি স্থল বন্দরে বুধবার এক যোগে ভোট গ্রহন হয়। মোট ৯৬ ভোটের মধ্যে উল্লেখিত ভোট পেয়ে জাহাঙ্গীর-সাগির পরিষদ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ পুরো প্যানেলে জয়লাভ করে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয় তলায় নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন কামাল হোসেন, প্রিজাইডিং অফিসার এর দায়িত্বে ছিলেন মোঃ খোরশেদ আলম, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার রনি কুমার বসাক ও সাইফুল ইসলাম।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কামাল হোসেন বলেন. অত্যান্ত শান্তিপূর্ন ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের ১৩টি স্থল বন্দরে মোট ৯৬ জন ভোটার । তারা স্বতস্ফুর্ত ভাবে ভোট প্রদান করেছেন।
তবে মেহেদী-ফিদা পরিষদের সভাপতি প্রার্থী মেহেদী হাসান ভোমরা স্থল বন্দরে নিয়ম ভঙ্গ করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার অভিযোগ এনেছে। এই মর্মে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কামাল হোসেনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ভোমরা স্থল বন্দরের নির্বাচন স্থগিতের জন্য। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, ওই বন্দরের কর্মকর্তারা জোর করে ভোটারদের সকলের সামনে ভোট দিতে বলেন। এতে ভোটাররা বিপাকে পড়ে যায়। যা নির্বাচন বহির্ভূত কাজ বলে তিনি দাবি করেন।
নবনির্বাচিত সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাগির বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। এখানে কোন কারচুপি বা অনিয়ম হয়নি। পরাজিতরা সব সময় অভিযোগের দোহা তুলে থাকে। এখানেও সেই রকম অভিযোগ ভোমরা স্থল বন্দরের প্রতি করেছে। তিনি নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়ে তার ইউনিয়নের সকল সদস্যর দাবি দাওয়া কর্তৃপক্ষর কাছে তুলে ধরবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
খুলনা গেজেট/কেএম