খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

‘বাংলাদেশ সত্যিই আনলাকি’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকরা অপেক্ষমান। সবার চাওয়া ছিল গোলদাতা শেখ মোরসালিনকে। কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা মোরসালিনকে মিডিয়ার সামনে দিতে রাজি হননি। অধিনায়ক জামাল ভূইয়া সংবাদকর্মীদের মোরসালিনের অভাব পূরণ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ও জামাল নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন শেষে জামালকে ঘিরে সাংবাদিকদের জটলা। জামালের দিকে ছুটল কয়েকটি প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের সারমর্ম উত্তর দিলেন জামাল এভাবে, ‘আমরা আসলে আনলাকি। দুই ম্যাচেই ভালো খেলেছি। গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। আমরা জয়ের সুযোগ মিস করেছি।’

গত ম্যাচে জামাল ৬০ মিনিট খেলেছিলেন। আজ অবশ্য অধিনায়ককে ৯০ মিনিট মাঠে রেখেছিলেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। ৬৮ মিনিটে জামালের একটি শটে আফগান ডিফেন্ডারের হ্যান্ডবল দাবি করেছিল বাংলাদেশ। সেই জোরালো দাবি নেপালী রেফারি নাকচ করে দেন।

রেফারিং নিয়ে জামাল ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রেফারি আমাকে বলেছে হ্যান্ডবল হয়েছিল। কিন্তু সে ইচ্ছেকৃত করেনি তাই পেনাল্টি দেয়নি।’ পেনাল্টি না পাওয়ায় খানিকটা আফসোস রয়েছে তার, ‘আসলে রেফারিং নিয়ে কোচ তো বলেছেই। আমার আর কিছু বলার নেই। স্বাগতিক হিসেবে কিছু সিদ্ধান্ত..।’

ম্যাচের প্রথমার্ধে রেফারি দু’টি লাল কার্ড দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের সহকারী কোচ হাসান আল মামুনের পাশাপাশি আফগান কোচ আব্দুল্লাহ আল মুতাইরী মাঠ ছেড়েছেন। ম্যাচ জুড়েই বেশ কয়েকবার কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি। বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা খানিকটা বিরক্তি নিয়েই রেফারিং প্রসঙ্গে বলেন, ‘সবাই দেখেছে কি রেফারিং হয়েছে।’

দুই ম্যাচ সিরিজ ড্র করে বাংলাদেশের কোচ তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন। খেলোয়াড়দের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ম্যাচের প্রথম বিশ মিনিট ছাড়া আফগানিস্তান আমাদের সেভাবে চাপ দিতে পারেনি। বাকি সময় আমরা ম্যাচটি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’

ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ দিকে ঝুম বৃষ্টি নামে। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠ ভারী হয়। বৃষ্টি বাংলাদেশের জন্য সহায়ক কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে অধিনায়ক জামাল বলেন, ‘বৃষ্টি উভয় দলের জন্যই সমান। তেমন বিশেষ সুবিধা হয়নি তবে আমাদের বৃষ্টিতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।’

অধিনায়ক এবং কোচ যখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। সেই মুহুর্তে বাংলাদেশ দলের অন্যতম ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ এসে হাজির হন ডাব মুখে দিয়ে। বাংলাদেশের সমতাসূচক গোলটি করেন মোরসালিন। সেই গোলের যোগানদাতা বিশ্বনাথ। সাফে মালদ্বীপের বিপক্ষেও বিশ্বনাথের পাসে গোল করেছিলেন মোরসালিন। তাদের এই বোঝাপড়া সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা ক্লাবে একসঙ্গে খেলি তাই রাকিব-মোরসালিনের সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো। রাকিব জানে কখন আমি কোথায় থাকব সেভাবে বল ছাড়ে। রাকিব যখন আমাকে বল দিল আমি দেখলাম জামাল ও মোরসালিন ফ্রি। স্বাভাবিকভাবেই বল বাড়ালাম।’ সেই বল পেয়ে মোরসালিন গোল করে বাংলাদেশকে সমতায় আনে এবং সিরিজও ড্র হয়।

খুলনা গেজেট/ এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!