বাংলাদেশে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রোগী ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে শুধু অ্যাজমা রোগেই ভুগছেন প্রায় ৭০ লাখ মানুষ। বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ও চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মির্জা মোহাম্মদ হিরন বলেন, বায়ু দূষণের কারণে প্রথমে আক্রান্ত হয় ফুসফুস ও শ্বাসনালী। অব্যাহত বায়ু দূষণে অ্যাজমা, অ্যালার্জি, শ্বাসনালী ও ফুসফুসে নিউমোনিয়া সংক্রমণ, সিওপিডি ও ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন কার্ডিওভাসকুলার রোগও বেড়েই চলেছে।
তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণ, জীবনযাত্রা প্রণালী, খাদ্যাভাব ইত্যাদির কারণে বক্ষব্যাধি ও হৃদরোগ আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ।
স্বাগত বক্তব্যে অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. বিশ্বাস আখতার হোসেন বলেন, ১৯৫৫ সালে স্থাপিত ঢাকা মহাখালীস্থ হাসপাতালটি দেশের বক্ষব্যাধি আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান। সেই সাথে একই চত্বরে জাতীয় অ্যাজমা সেন্টারের কার্যক্রম পুরোমাত্রায় চলছে। বর্তমানে হাসপাতালে একটি সিটি স্ক্যান মেশিন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আর্থিক সহায়তায় মাইক্রোব্যাক্টেরিয়া কালচারের জন্য আন্তর্জাতিক মানের জাতীয় রেফারেন্স ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ এমপি, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. বিশ্বাস আখতার হোসেন, মহাসচিব ডা. মো. আবু রায়হান, অর্গানাইজিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুর রউফ ও অর্গানাইজিং কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মু. সাইদুল ইসলাম।