পল্টনের শহীদ নূর হোসেন ভলিবল স্টেডিয়াম এদিন ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলের মধ্যে চলে শ্বারুদ্ধকর লড়াই। ম্যাচের প্রথমার্ধের লড়াইয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ১৭-১৪ পয়েন্টের ব্যবধানে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের লড়াইয়ে দুই দল যেন কেউ কাউকে এক বিন্দু ছাড় দেয়নি।
বিরতির পর শুরুতে ভুল করেন বাংলাদেশের ফেরদৌস। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে আটকাতে গিয়ে পয়েন্ট উপহার দেন। এক পর্যায়ে রাজিব ও সবুজ আউট হলে লিড নেয়া কেনিয়ার পয়েন্ট গিয়ে দাঁড়ায় ১৮-১৭। তিনজনে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের অলআউটের শঙ্কা জাগে। পরক্ষণেই কেনিয়ার ভিক্টরকে আউট করলে সমতা আনে লাল সবুজের দলটি।
কিন্তু মুনিরুলের ভুলে আবারও লিড নেয় আফ্রিকান দেশটি। পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান রাজিব আহমেদ। একাই কেনিয়ার দুই প্লেয়ারকে আউট করে মূল্যবান দুই পয়েন্ট এনে দিলে জেগে উঠে গ্যালারি।
দারুণ খেলতে থাকা স্বাগতিকরা ব্যবধান নিয়ে যায় কেনিয়ার ধরাছোঁয়ার বাইরে (২৯-২১)। একে একে কেনিয়ার ওদিয়াম্বো, নামাবকে আউট করলে পয়েন্ট গিয়ে দাঁড়ায় ৩০-২৩।
তবে এমন সময়ে ম্যাচের মোড় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে কেনিয়া। একে একে পয়েন্ট তুলে তারা ব্যবধান কমিয়ে আনেন মাত্র এক পয়েন্টের (৩২-৩১)। ম্যাচের শেষ মিনিটে কেনিয়ার নাম্বার ওয়ান ভিক্টর ভুল করলে দুই পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতে উঠে।
দ্বিতীয়ার্ধের লড়াইয়ে দুই দল সমান ১৭ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করে। ফাইনালে কেনিয়াকে দুইটি লোনাসহ ৩৪-৩১ পয়েন্টে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে তুহিন তরফদাররা।
কেনিয়াকে টানা দুই আসরের ফাইনালে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডির অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এর আগে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে ওঠে। এরপর সেমিতে ইরাককে পরাজিত করে ফাইনালে কেনিয়ার মুখোমুখি হয় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
খুলনা গেজেট/এএ