ফুলতলায় পাশবিক নির্যাতন ও গলা কেটে হত্যা করা তরুণী মুসলিমার লাশের ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বোন আকলিমা খাতুন বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা করেন।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রিয়াজ নামের এক যুবককে আটক করেছে। তবে খন্ডিত মস্তক উদ্ধার হয়নি এবং মূল হত্যাকারীরা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত মুসলিমার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। বিকালে উপজেলা জামে মসজিদ চত্ত্বরে জানাজা শেষে সরকারি গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে নিহত মুসলিমার বোন আকলিমা খাতুন বাদি হয়ে ফুলতলা থানায় অজ্ঞাত ৫/৬ ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা (নং-১৩) দায়ের করেন। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে মোবাইলে কল পেয়ে মুসলিমা রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে বের হলে পরে তাকে পাশবিক নির্যাতন ও হত্যা করা হয় বলে এজহারে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের বুধবার দিবাগত রাতে অভয়নগরের একতারপুর এলাকা থেকে রিয়াজ নামে এক যুবককে আটক করে। তবে হত্যা ঘটনার দু’দিনেও পুলিশ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক, খন্ডিত মস্তক ও পরিধেয় বস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি।
থানার অফিসার ইনচার্জ ইলিয়াস তালুকদার বলেন, এখনও পর্যন্ত হত্যার মোটিভ উদ্ঘাটন ও আসামি আটক করা যায়নি। তবে অতি দ্রুতই ঘটনায় জড়িতদের আটক ও হত্যার কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
প্রসংগত বুধবার সকালে ফুলতলার উত্তরডিহি এলাকার ধান খেত থেকে মুসলিমার মস্তকবিহীন বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে।
খুলনা গেজেট/ এস আই