উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রায় জলাবদ্ধতায় আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বেড়েছে বোরো আবাদ। এদিকে বোরোর মাঠে বেড়েছে ইদুরের উৎপাত। ইদুর থেকে ফসল রক্ষা করতে কৃষক অবৈধভাবে রাতের আধারে বৈদ্যুতিক তার টেনে তৈরি করছে ইদুর মারা ফাঁদ। আর এফাঁদে অনেক সময় কৃষকেরই মৃত্যু ঘটছে। তবে এমন মৃত্যু ফাঁদ তৈরিতে বিদ্যুৎ অফিস সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নির্বাক।
সম্প্রতি ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে উপজেলার বাগালি ইউনিয়নের গাজীনগর গ্রামে রাজা ও বাদশা নামে দুই ভাই তাদের বোরো ক্ষেতে বৈদ্যুতিক তার টেনে তৈরি করে রাখে ইদুর মারা ফাঁদ। আর এফাঁদে স্পৃষ্ট হয়ে খোকন মোড়ল (৪৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের হেতালখালির বিল, ২ নম্বর কয়রা, ৩ নম্বর কয়রা, ৪ নং কয়রা, মদিনাবাদ, মহারাজপুর ইউনিয়নের জদুর বিল মহারাজপুর বড় বিল, মধ্য বিল, মঠবাড়ি বিল বাগালি ইউনিয়নের মালিকালি বিল, ঠাকুরের চক, গাজিনগর বিল মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের মহেশ্বরীপুর বিলে ও আমাদী ইউনিয়নে তবুও থেমে নেই অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক তার টেনে তৈরি ইদুর মারা ফাঁদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন কৃষক জানান, ইদুরের উৎপাত এত পরিমান বেড়েছে বিষ ও ছিটেকল কাজে আসছেনা। রাতের আধারে ইদুর বোরোর ছোট ছোট চারা দাত দিয়ে কেটে নষ্ট করছে। তাই ইদুরের উৎপাত থেকে বোরা ফসল রক্ষা করতে এক প্রকার বাধ্য হয়ে অবৈধ ভাবে বৈদ্যুতিক তার টেনে ইদুর মারা ফাঁদ তৈরি করতে বাধ্য হচ্ছি।
কয়রা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার বলেন, রাতের আধারে কৃষক অবৈধভাবে বিপদজনক ভাবে বৈদ্যুতিক তার টেনে ইদুর মারা ফাঁদ তৈরি করছে। আমরা গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক করে চেষ্টা করছি মানুষকে সচেতন করার।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, বোরোর মাঠে ইদুরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় কৃষক এই বিপদজনক পদ্ধতি বেছে নিয়েছে। আমরা কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক করে চেষ্টা করছি এপদ্ধতি থেকে কৃষকের ফিরিয়ে আনতে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, বিপদজনক এ পদ্ধতি ব্যাবহার করে কৃষক ইদুর মারছে খরব পেয়ে কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। কাল পরশু মাইকিং করা হবে। এর পরেও কোন কৃষক বিপদজনক এ পদ্ধতি অব্যাহত রাখলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই