পিরোজপুর সদর উপজেলায় অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার একটি গ্রামে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে সদর থানার ওসি আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান জানান।
পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ (১৮) শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, তার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। এ জন্য তিনি তার বাবার বাড়িতে থাকেন। কয়েকদিন ধরে কুমিরমারা-বেকুটিয়া ফেরিঘাট এলাকার মাঈনুল নানা প্রলোভন ও উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। তিনি তাতে সাড়া দেননি।
শুক্রবার রাতে গৃহবধূর বাবা ঘরের বাইরে ছিলেন। তখন মাঈনুল ও তার কয়েকজন সহযোগী অস্ত্রের মুখে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পাশের একটি বাগানে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এক সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ভোরে জ্ঞান ফেরার পর তার চিৎকার ও কান্না শুনে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, গৃহবধূকে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।