সাতক্ষীরায় অন্য নারীর সাথে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহের জেরে স্বামী মেহেদি হাসানের (২৮) গোপনাঙ্গ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ভোর রাতে জেলার পাটকেলঘাটা থানার ভারসা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
এঘটনায় স্ত্রী শারমিন বেগমকে (২৩) আটক করেছে পুলিশ। মেহেদি হাসান সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মেহেদি হাসানের বাবা নওয়াব আলী জানান, ৭ বছর আগে তার ছেলে মেহেদির সাথে একই থানার বকশিয়া গ্রামের সাজ্জাদ মোড়লের মেয়ে শারমিনের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের ঘরে ৪ বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে প্রায় অশান্তি হতো।
প্রতিবেশী আসলাম আলী পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, মেহেদির সাথে তার স্ত্রীর প্রায়ই ঝগড়া হত। মেহেদির বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহের জেরে এমনটা হত বলে আমরা জানতে পেরেছি। গত পনের দিন ধরে মেহেদি স্ত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য হুমকি দিলে দু’জন পৃথক ভাবে বসবাস করছিল। সোমবার(১১ এপ্রিল) রাতে স্ত্রী তাকে কৌশলে একসাথে ঘুমানোর জন্য বলে। রাতে ঘুমিয়ে পড়লে ভোর রাতের দিকে ছুরি দিয়ে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দেয় শারমিন। পরে স্থানীয়রা মেহেদিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফয়সাল আহমেদ জানান, মেহেদি হাসান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পুরুষাঙ্গ ৭০ শতাংশ কেটে গেছে।
পাটকেলঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবলুর রহমান খাঁন জানান, ঘটনার পর শারমিন বেগমকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মেহেদির বাবা নওয়াব আলী বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। যেটি রেকর্ড করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই