পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ৭ উইকেটে ১২৭ রান। ব্যাটারদের দৈন্যতা প্রদর্শনের দিনে রান পেয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান ও শেখ মেহেদী হাসান।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। নাঈম শেখের সাথে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন সাইফ হাসান। দ্বিতীয় ওভারে হাসান আলির প্রথম বলেই পরাস্ত হন নাঈম। বিদায় নেন ৩ বলে ১ রান করে।
অভিষিক্ত সাইফ ৮ বলে মাত্র ১ করে মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। নাজমুল হোসেন শান্ত আক্রমণাত্মক মানসিকতা প্রদর্শন করেন, কিন্তু ব্যাটে-বলে না মেলায় সফল হতে পারেননি। ১৪ বলে ৭ রান করে ওয়াসিমের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। ১৫ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ, পাওয়ারপ্লেতে সংগ্রহ করে ২৫ রান।
বিপদের মাঝে আশা দেখান আফিফ হোসেন ধ্রুব। কিন্তু অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজের বল স্টাম্পে না লাগলেও বেল ছুঁয়ে যায় এবং রিয়াদকে হতবাক করে উইকেট তুলে নেয়। অধিনায়ক ১১ বলে ৬ রান করে সাজঘরের পথ ধরলে ৪০ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
১১তম ওভারে ম্যাচের প্রথম ছক্কা আসে আফিফের ব্যাট থেকে। টানা দুইটি ছক্কা হাঁকান আফিফ। আগের ওভারেই শাদাবের বলে তাকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। ওভারটি হয়েছিল মেডেন।
বাংলাদেশের লড়াকু স্কোরের আশা জাগিয়ে রাখা আফিফ বিদায় নেন শাদাবের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে। ৩৪ বলে ৩৬ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তার উইলো থেকে আসে দুইটি করে চার ও ছক্কা।
এরপর দলের হাল ধরেন নুরুল হাসান সোহান। দ্রুত রান তুলতে থাকা সোহান বাক-বিতণ্ডায় জড়ান হাসানের সাথে। সেই ওভারেই উইকেটরক্ষক রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সোহান। তার ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২৮ রান। দুইটি ছক্কা হাঁকান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
স্লগ ওভারে ভালো ব্যাটিং করেন মেহেদীও। ২০ বলে হার না মানা ৩০ রান করেন এই অলরাউন্ডার। তার ব্যাট থেকে আস একটি চার ও দুইটি ছক্কা। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকান তাসকিন আহমেদ। নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ৭ উইকেটে ১২৭ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে তিনটি উইকেট শিকার করেন হাসান। ২৪ রান দিয়ে দুইটি উইকেট পান ওয়াসিম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ১২৭/৭ (২০ ওভার)
আফিফ ৩৬, মেহেদী ৩০*, সোহান ২৮, শান্ত ৭, রিয়াদ ৬, সাইফ ১, নাঈম ১;
হাসান ৩/২২, ওয়াসিম ২/২৪।
পাকিস্তানের লক্ষ্য ২০ ওভারে ১২৮ রান।
খুলনা গেজেট/এনএম