পাইকগাছায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় দিনদিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। এ পর্যন্ত উপজেলায় ৬০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। লকডাউন প্রত্যাহারের পর থেকে অধিকাংশই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অনেকে মাস্ক পরলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না।
এদিকে উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখার ৩ কর্মকর্তার করোনা সনাক্ত হওয়ায় রবিবার থেকে সকল প্রকারের লেনদেন সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনের তেমন কোন নজরদারি না থাকার কারনে মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা কমে যাচ্ছে। পৌর সদরের বেশিরভাগ খাবারের দোকানে পরিবেশনকারী থেকে শুরু করে খাবার প্রস্তুতকারীদের অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক দেখা যায় না। অনেকেই আবার মাস্ক ব্যবহার না করে পকেটে নিয়ে ঘুরছেন। সাংবাদিক কিংবা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের দেখলে তড়িঘড়ি করে সেই সময়টুকুর জন্য মাস্ক ব্যবহার করছে। এতে নানাভাবে সংক্রমিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ হলেও বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ পেরিয়ে গেছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার সাবেক সংসদ সদস্য এড. শেখ মোহাম্মদ নূরুল হকসহ ১০ ব্যক্তির নমুনায় পজেটিভ হয়েছে।
উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংক শাখার ৩ কর্মকর্তার করোনা সনাক্ত হওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ রবিবার থেকে ব্যাংকের সকল প্রকারের লেনদেন সাময়িক ভাবে বন্ধ ঘোষনা করেছেন। অত্র শাখায় ১২ জন কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে সকলেই নমুনা দিয়েছেন বলে একটি সুত্র জানিয়েছে। ব্যাংক খোলা রাখলে সাধারণ মানুষ সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকায় ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লেনদেন সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। সে অনুযায়ী রবিবার থেকে ব্যাংকের সকল কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসী সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।