পাইকগাছায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৪জন আহত হয়েছে। থানায় পৃথক মামলা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের মৎস্যজীবীদের তালিকা প্রণয়ন নিয়ে দুটি পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে আসছে। এরই জের ধরে এলাকায় গত কয়েকদিন যাবৎ উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধ্যার পর ইউনিয়নের শান্তা বাজারের ইউপি চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে দু’পক্ষের মধ্যে মারামরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানে আটকে থাকা দু’যুবককে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দু’পক্ষই থানায় এজাহার দায়ের করে।
শান্তা গ্রামের মৃত সিরাজ সরদারের ছেলে বাবর আলী সরদার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ঘটনার দিন গড়ইখালী গ্রামের সালাম গাজীর ছেলে শারফুল আলম ও তার লোকজন আমার ছেলে শাহাবুদ্দীন শামদ সরদারের ওপর হামলা করে বেদম মারপিট করে। এ ঘটনায় শারফুল সহ ৯জনকে আসামী করে থানায় মামলা করা হয়েছে। যার নং ২৭, তাং ১৮/০৭/২০ ইং।
অপরদিকে গড়ইখালী গ্রামের মৃত কাশেম আলী গাজীর ছেলে আতারুল গাইন বাবর আলী সরদারের দুই ছেলে সাবুদ আলী ও আব্দুর রহমান সরদারসহ ৯ জনকে আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আমার ছেলে জনি গাইন ও সালাম গাজীর ছেলে শারফুল ইসলাম ঘটনার দিন ৮৫ হাজার ৫শ টাকা নিয়ে গাংরখী এলাকার রাস্তার কাজের শ্রমিকদের পারিশ্রমিকের টাকা দিতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে শান্তা বাজার পৌছালে আসামীরা তাদের গতিরোধ করে মারপিট করে জোরপূর্বক ওই টাকা কেড়ে নেয় এবং শারফুল ও জনিকে বাজারের দোকানে আটকে রাখে। আহতদের মধ্যে লাভলু ও হাফিজুল শেখ নামের দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে খুলনায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওসি (তদন্ত) আশরাফুল আলম জানান, শান্তা বাজারে মারামারি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বাজারে এলাকার বহুলোকজন জড়ো হয়েছে। পরে দোকানে আটকে থাকা শারফুল ও জনি নামে দু’যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম