উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে খুলনার পাইকগাছায় বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল ৫ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী। একই সাথে ভ্রাম্যমান আদালতে ঐ কনের পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিন উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের আমিরুল মোড়লের বাড়িতে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বাল্য বিবাহটি বন্ধ করেন। যদিও প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই পালিয়ে যায় বরপক্ষের লোকজন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার জানান, উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের আমিরুল মোড়লের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সাথে পার্শ্ববর্তী রামনগর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে খায়রুল ইসলামের সাথে পারিবাকিভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয়। এমন খবর পেয়ে বেলা ২টায় সরেজমিনে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিশ্চিত করেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিয়ের সত্যতা পান।
এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে মেয়ের পিতাকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান পূর্বক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেন ।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেন, আনসার কমান্ডার আবু হানিফ, কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মনিরুল ইসলাম, ইউনিয়ন লিডার মোঃ ফয়সাল হোসেসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র আরো জানায়, আগেই অবৈধ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্দ আল-আমিন উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্য বলেন, নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের কোনো বৈধতা নেই। তাই মেয়েটিকে স্কুলে ভর্তি করে তার লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেন।