খুলনার পাইকগাছায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাস কক্ষে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি মামলা করা হয়েছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে আদালতের স্টেনো বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
পরে ওই রাতেই থানা পুলিশ মামলার আসামি উপজেলার গদাইপুর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪০) কে গ্রেফতার করেছে।
এর আগে, ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে দু’টি কোকের বোতল ও একটি লাঠি জব্দ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, আদালতের এজলাস কক্ষের জানালার গ্লাস ভেঙে সেখান দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাস কক্ষের জানালা ভেঙে সেখান দিয়ে দূর্বৃত্তরা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বুধবার ভোর বেলায় স্থানীয় মুসল্লীরা পার্শ্ববর্তী মসজিদে নামায আদায় করতে যাওয়ার সময় পোড়া গন্ধ ও আদালত কক্ষ থেকে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখে আদালত সংশ্লিষ্টদের খবর দেয়। তৎক্ষণিক মুসল্লীদের সহায়তায় তারা আগুন নেভাতে সক্ষম হন। এতে এজলাসের আসামীর কাঠগড়া, আইনজীবিদের বসার চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
ঘটনার খবরে তাৎক্ষণিক সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) সাইফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আরিফুজ্জামান, পাইকগাছা থানার ওসি মোঃ ওবায়দুর রহমানসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এরপর দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসীর আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, এছাড়া ঐ দিন বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা খাতুন, চীপ জুডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দ বাগচিসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদশনে আসেন।
এদিকে আদালতের এজলাশ কক্ষে আগুন লাগার ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলায় ঘটনার রাতে আদালত প্রাঙ্গণে ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল ও পুলিশ কনস্টেবল মনিকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে।
এব্যাপারে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আদালতের স্টেনো মোল্যা গোলামসরোয়ার বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে একটি মামলা করেছেন। এরপর মামলার রাতেই উপজেলার গদাইপুরের আনছার আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪০) কে আটক করা হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, অপরাধ করে পার পাওয়ার কোন প্রকার সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। যতদ্রুত সম্ভব ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
খুলনা গেজেট/ এএজে