সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর দ্বার উন্মোচন হয়েছে। জাতির সাহস আর সামর্থ্যরে প্রতীক পদ্মা সেতুর শনিবার উদ্বোধন করেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্ঠা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খরস্রোতা পদ্মা জয়ের পর এবার শুরু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সমৃদ্ধি আর বদলে যাওয়ার গল্প। যে গল্পে থাকবে শুধুই সাফল্যের কথা।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে এদিন সারাদেশের মতো যশোরও উৎসবের নগরী হয়ে ওঠে।
উদ্বোধনের ক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে ছিল। ঐতিহাসিক ক্ষণের সাক্ষী হতে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে যশোরের টাউনহল ময়দানে হাজির হতে থাকে মানুষ। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে মাঠে আসে। এছাড়া ঢাক ঢোল, ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মাঠে সমবেত হয় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই টাউন হল ময়দানের বড় পর্দায় দেখানো হয় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সরাসরি অনুষ্ঠান। এখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা পরিষদের প্রশাসক সাইফুজ্জামান পিকুল, পৌর মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আযম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাইজুজামানসহ যশোরের সর্বস্তরের জনগন। দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী সেতু উদ্বোধন করার পর যশোরেও বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন ও দোয়া করা হয়।
এছাড়া, বিকেলে একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাতে আতশবাজি ও লেজার শোয়ের আয়োজন করা হয়।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ