সামাজিক বন বিভাগ যশোর কর্তৃক নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে পাঁচুড়িয়া ব্রিজ হতে মঙ্গলহাটা গ্রামের আকবরের বাড়ি পর্যন্ত ১০.০ সি.কি. বাগান পরিচালনা ব্যয় খাতের আওতায় ১০ হাজার চারা রোপণ করা হয়। এ বাগানে পুরুষ ও মহিলা উপকারভোগীর সমন্বয়ে চুক্তিনামা সম্পন্ন করা হয়েছে।
ওই বাগানে প্রায় ৩০ প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়েছে। যেমন-আকাশমনি, মেহগিনি, গামার, বাবলা, ইপিল ইপিল, দেবদারু, খৈয়া বাবলা, কাঁঠাল, চালতা, জলপাই, চিকরাশি, পেয়ারা, আতা, আম, আমলকি, হরিতকি, বহেরা, কাঠ বাদাম, বাতাবিলেবু, কদবেল, জারুল, তেঁতুল, পুয়ো, নিম, জাম, লম্বু,শিলকড়ই ইত্যাদি প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়েছে।
১০ বছর পর বাগানের আবর্তকাল উত্তীর্ণ হলে বাগানের গাছ বিক্রি করে বিক্রয়কৃত অর্থের ৫৫% লভ্যাংশ উপকারভোগী সদস্যদের মাঝে সমভাবে প্রদান করা হবে। এছাড়া ভূমি মালিক, ইউনিয়ন পরিষদ, সামাজিক বনায়নের নীতিমালার আলোকে লভ্যাংশ পাবেন।
বাগানটির উপকারভোগীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রোপিত গাছের সংরক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার রেখেছেন। সামাজিক বন বিভাগ যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সহকারী বন সংরক্ষক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা ফরেস্টার ও অন্যান্য কর্মচারীরা মাঝে মধ্যে বাগানটি পরিদর্শন করে বাগানে রোপিত গাছের সংরক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার রেখেছেন।
বাগানের উপকারভোগী চরমল্লিকপুর গ্রামের মো: ঝন্টু শেখ, পাঁচুড়িয়া গ্রামের দুলদুল খান ও হ্যাপি বেগম আলাপকালে জানান, বন বিভাগের নির্দেশনা মেনে গাছ সংরক্ষণ ব্যবস্থা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলার দক্ষিণ এলাকায় নবগঙ্গা নদীর পাড়ে এ বাঁধ বাগানটি দৃষ্টিনন্দন। বন বিভাগ কর্তৃক সবুজায়নের ফলে এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর ও মনোরম হয়েছে। সবুজ, ছায়া নিবিড় এই বাগানে স্হানীয় কৃষক ও পথিক ক্লান্তির পরশ বুলিয়ে নেয়। বাগানটি অক্সিজেন সরবরাহের উৎস হিসেবে কাজ করছে। বিভিন্ন প্রজাতির পাক-পাখালির কলরবে বাগানটি মুখরিত থাকে। বাগানটি ভূমি ক্ষয়, বাঁধ সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে সহায়তা করছে। আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সাথে সাথে বাগানটি প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়ন সাধন করছে।
নড়াইল বন বিভাগের কর্মচারী হাসান খান বলেন, এ ধরনের সামাজিক বনায়নে মানুষের আর্থিক সামাজিক ও প্রাকৃতিক উন্নয়ন ঘটবে।
এ বিষয়ে নড়াইল জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস কে আব্দুর রশীদ বলেন, ‘ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বন ভিভাগের এ ধরনের বনায়ন কর্মসূচি চলমান থাকবে’।
খুলনা গেজেট/এনএম