খুলনা, বাংলাদেশ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ১০ দিনের ছুটি শেষে সব অফিস খুলছে আজ

নড়াইলে মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে জখম

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে স্থানীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ শাহরিয়ার রানা (৩০) কে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে তার আপন বড়ভাই এস এম শামসুজ্জোহা রুমি ও তার ভাবি রুমার বিরুদ্ধে । বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার মাদরাসা বাজার সংলগ্ন চিলগাছা রঘুনাথপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাইদ শেখের মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন ধরে তাঁর দুই সন্তান শাহরিয়ার রানা ও শামসুজ্জোহা রুমির মধ্যে জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী শাহরিয়ার রানাকে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে অন্যত্র বিক্রি করার আয়োজন করেন অভিযুক্ত বড়ভাই রুমি। এতে বাধা দিলে ভুক্তভোগী হাফেজ রানাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথা, হাত ও দুই পায়ের হাঁটুতে গুরুতর জখম করেন অভিযুক্ত রুমি ও তার স্ত্রী রুমা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. নাইম বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে দুপুরে হামলাকারী রুমি ও তার স্ত্রী রুমা মিলে শাহরিয়ার রানাকে পিটিয়ে আহত করেছে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শাহরিয়ার রানা বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর আমার বড়ভাই আমাকে বাবার সম্পদের নায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করেছেন। সকল সম্পত্তি তিনি একাই দখলে রাখতে চান। আমি দীর্ঘদিন ধরে বাবার সম্পত্তিতে আমার নিজ অংশ বুঝে পেতে চাইলে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয়ও দেখায়। এর জের ধরে আজ আমার বড়ভাই রুমি বাবার সম্পত্তি থেকে আমাকে বঞ্চিত করে জমি বিক্রি করার চেষ্টা করে। আমি এতে নিষেধ করলে আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এবং বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। নয়ত আমাকে জানে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয় সে। আমি আইনের আশ্রয় চাই, আমার ওপর হামলার বিচার চাই।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শরিফ বলেন, রোগীর শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে বড় কোনো আশঙ্কা নেই। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসার মাধ্যমেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব।

এ বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত এস এম শামসুজ্জোহা রুমি বলেন, ছোটোখাটো দ্বন্দ্বের জেরে আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। অথচ ও (ভুক্তভোগী রানা) সাথে সাথে সাংবাদিকদের কাছে গেছে, থানায় গেছে। কিন্তু আমার মানসম্মান আছে বলে আমি কোথাও যাইনি। এসময় ভাইকে জমির নায্য ভাগ না দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।

এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!