যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া টু সুন্দলী সড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের বেহাল দশা হয়েছে।মণিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার সংযোগ সড়ক এটি। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সংস্কারের এক বছরের মধ্যে পিচ, খোয়া উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী এ সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সেখানে অল্প বৃষ্টিতে পানিতে ভরে গিয়ে কাদামাটিতে রাস্তা এত খারাপ হয়েছে যা মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। খারাপ রাস্তায় যানবাহন চলাচল করতে কম দেখা গেছে। কিছু যানবাহন চলাচল করছে তা আবার প্রতিনিয়ত রাস্তায় গর্তের কারণে বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সড়কটি মানুষের খুব গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শিল্প শহর নওয়াপাড়ায় কাজের সন্ধানে এসে থাকে। কিন্তু বেহাল দশার কারণে ঠিক সময়মত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। রাস্তা দিয়ে যে কয়েকটিও যানবাহন চলাচল করে তাতে আবার ভাড়া দ্বিগুণ।
নওয়াপাড়া সুন্দলী রোডে ইজিবাইক চালক ইমান আলি, মিল্টন, ফারুক, কুরবান, মুস্তাফিজুর রহমান ও মোটর সাইকেল রবিউল ইসলাম, সালাম, ইউসুফ তারা বলেন, ‘আমরা নওয়াপাড়া সুন্দলী রাস্তায় গাড়ি চালাই কিন্তু সুন্দলী পূর্ব দিকে ১ কিলোমিটার রাস্তা ও পশ্চিমপাড়া ধোপাদী এলাকায় এতই খারাপ হয়েছে যে গাড়ি চালাতে আমাদের ভয় করে মাঝে মধ্যে পাল্টিও খাই। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। যা দুই একটা চলে তাতে উঠতে আবার পাল্টি খাওয়ার ভয় করে।’ তাই সংস্কারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
নওয়পাড়া থেকে অল্প সময়ে মণিরামপুর যেতে সড়কটি বেশ সুবিধাজনক। এই সংযোগ সড়কটি নির্মাণের আগে অভয়নগর থেকে মণিরামপুর যেতে হলে যশোর ঘুরতে হতো। সে সময় প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হতো। নওয়াপাড়া-সুন্দলী সড়কে মণিরামপুর পর্যন্ত দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের দশা বেহাল হয়েছে। বাকি মনিরামপুর সড়কে কাজ চলছে।
মণিরামপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল রহিম মিয়া জানান, তিনি নওয়াপাড়া আকিজ মিলে শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। তার এলাকার ৬ শতাধিক শ্রমিক নওয়াপাড়ার বিভিন্ন মিলে কাজ করে। রাতের আঁধারে আসা-যাওয়া করতে হয়। ভাঙা রাস্তার কারণে সময়মত গাড়ি যেতে পারে না, তাই কাজে যেতে দেরি হয়।
সুন্দলী গ্রামের বাসিন্দা অনুতাপ মন্ডল বলেন, ‘রাস্তার বেহাল দশার কারণে চলাচল করতে অনেক সময় লাগে। তাছাড়া প্রায় ধোপাদী প্রতিবন্ধী স্কুলের সামনের সড়কে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রীরা।’
জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই সড়কের মাপ-জোক করে স্কিম তৈরি করছি। দুই-তিনদিনের মধ্যে জেলায় পাঠানো হবে। আশা করি, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’
খুলনা গেজেট/এনএম