নওয়াপাড়ায় ভৈরব নদীর উপর অবস্থিত ভৈরব সেতু। সেতুর অধিকাংশ লাইট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। প্রায় সময় রাতে দুর্ঘটনা ও চুরি বেড়েই চলেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছে।
জানা গেছে, নওয়াপাড়া শিল্প বন্দর একটি বড় মোকাম। এ বন্দরে সার, কয়লা, পাথর, গম, বালি, বিটুমিন, ফ্লাইওয়াস, খৈল, ভুসিসহ অন্যান্য আমদানি ও রপ্তানি হয়ে থাকে। এখানে বিভিন্ন দেশ ও বিদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে আসে। বন্দরের পাশে থাকা ভৈরব নদী। কার্গো, বার্জ, ছোট বড় জাহাজ এই নদী দিয়ে বিভিন্ন মালামাল আমদানি ও রপ্তানি করা হয়। ব্যবসায় আরো উন্নত করার লক্ষ্যে এই নদীর উপর সরকার ৯০ কোটি টাকা খরচ করে। ভৈরব সেতু নির্মাণ করেন। যেখানে যশোর, খুলনা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, এলাকার মানুষ সহজে মাল ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারে। কিন্তু সেতুটির ব্যবস্থাপনা কয়েক দিন ঠিক থাকলে। এখন সেতুর লাইট অধিকাংশ বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। এতে প্রায় সময় রাতে দুর্ঘটনা ও চুরি বেড়েই চলেছে। যে কারণে এখন আর রাতে আলো জ্বলে না। পথচারীদের ভোগান্তিও চরমে। ছোট-খাট দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।
রবিবার রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটিতে যে লাইট স্টিক আছে তাতে এখন আর আলো জ্বলছে না। পথচারীরা অনেক কষ্টে যাতায়াত করছে। গাড়ী গুলো লাইট জ্বালিয়ে আসা যাওয়া করছে। ভূক্তভোগীরা কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছে।
এসময় কথা হয় পথচারী উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ হোসেনের সাথে তিনি জানান, সন্ধ্যার পর এই ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়।
মশরহাঠি গ্রামের বাসিন্দা রাসেল হোসেন বলেন, রাতে লাইট না জ্বলার কারণে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারিরা।
এ ব্যাপারে ব্রীজের ফোরম্যান শামছুর রহমান বলেন, এলাকায় কিছু চক্র আছে, তারা এই লাইটের তার কেটে নিয়ে চলে যায়। সেই তার পুনরায় না লাগানো পর্যন্ত লাইট জ্বলে না। বিশেষ করে সেতুর পূর্ব দিকের লাইটগুলোর বেশির ভাগই বন্ধ থাকে।
তিনি আরো বলেন, কয়েকবার চোরদের আটক করে, থানায় অভিযোগ করেছি। তারপরও চুরি থামছে না। তবে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।
উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে যশোর এক্সচেঞ্জ সারের সাথে কথা বলেন। যশোর এক্সচেঞ্জ অফিসারের (০১৭০৮১২৩২০১) মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।
খুলনা গেজেট/এনএম