খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড
  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

দেবহাটায় রপ্তানিযোগ্য চিংড়িতে পুশ বন্ধে পুলিশের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় রপ্তানিযোগ্য বাগদা ও গলদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ বন্ধে অভিযান চালিয়েছে দেবহাটা থানা পুলিশ। রোববার(২১ মে) সকালে উপজেলার পারুলিয়া ও গাজীরহাটসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি মৎস্য সেড, অকশন সেন্টার ও রপ্তনিকারক ডিপোতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বাবুল আক্তার। এসময় স্থানীয় চিংড়ি ব্যবসায়ি সংগঠন গুলোর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শেষে রপ্তানিযোগ্য বাগদা ও গলদা চিংড়ি ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়কালে ওসি মোঃ বাবুল আক্তার বলেন, বিশ্ববাজারে সাতক্ষীরার বাগদা ও গলদা চিংড়ি’র ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি সাতক্ষীরার অন্যতম একটি ব্র্যান্ড। চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। সেজন্য সাতক্ষীরা তথা বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে রপ্তানিযোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ না করার জন্যও ব্যবসায়িদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকার এক শ্রেণীর অসাধু চিংড়ি ব্যবসায়ি ও ডিপো মালিক দীর্ঘদিন ধরে বাগদা ও গলদা চিংড়িতে ইঞ্জেকশনের সুঁই ও সিরিঞ্জের মাধ্যমে সাগুদানা, জেলি এবং ফিটকিরি, চিড়া, ভাত ও পানির মিশ্রনসহ নানা প্রকার অপদ্রব্য পুশ করে আসছিল।

এভাবে অপদ্রব্য পুশ করে চিংড়ির আকার ও আয়তন বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রেড আকারে চড়া দামে বিক্রি করছে ওই সব অসাধু মাছ ব্যবসায়ি। আর এসব পুশকৃত চিংড়ি বিদেশে রপ্তানী করছেন রপ্তানি কারক প্রতিষ্ঠান গুলো। অনেক সময় এসব মাছ বিদেশ থেকে ফেরত আসছে। এতে করে একদিকে যেমন দেশের সাধারণ ভোক্তারা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন, ঠিক তেমনই বিশ্ববাজারে ক্রমাগত চাহিদা হারাচ্ছে সাতক্ষীরার বাগদা ও গলদা চিংড়ি।

তবে সম্প্রতি অপদ্র্রব্য পুশ বন্ধে একের পর এক জরিমানাসহ কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন পারুলিয়া চিংড়ি বণিক সমিতি। এতে করে পারুলিয়া বাজার ও এর আশপাশ এলাকায় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হওয়ায় উপজেলার গাজীরহাট, টিকেট, পুটিমারী, সুবর্ণাবাদ, বড়শান্তা, আশাশুনির বদরতলা ও ব্যংদহা এলাকার মৎস্য সেড গুলো ও বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশে ঝুঁকেছেন অসাধু ব্যবসায়িরা। তাছাড়া সম্প্রতি খুলনা থেকে আসা কিছু অসাধু ব্যবসায়ি সাতক্ষীরার বিভিন্ন মৎস্য সেড থেকে বাগদা ও গলদা চিংড়ি কিনে তা খুলনায় নিয়ে অপদ্রব্য পুশ করে সাতক্ষীরার চিংড়ির সুনাম ও চাহিদা নষ্ট করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন পারুলিয়া চিংড়ি বণিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর সহ সংশ্লিষ্টরা।

খুলনা গেজেট/ এসজেড

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!