নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ও প্রকল্পের সভাপতি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। যশোর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ (জেলা জজ) আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক মুহাম্মদ সামছুল হক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মোস্তফা কামাল লোহাগড়া উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের আকরাম শিকদারের ছেলে। এর আগে গত ১২ নভেম্বর একই আদালত আসামির এক বছর দু’মাসের সশ্রম কারাদন্ড ও দু’হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। একইসাথে তাকে আত্মসাৎ করা ২৯ হাজার পাঁচশ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, কর্মসৃজন প্রকল্পের অধীনে ২০০৮ সালে লোহাগড়ার মল্লিকপুর ইউনিয়নের মঙ্গলহাটা ভাঙ্গার মাথা থেকে আবু তালেবের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু হয়। আট দিনের এ প্রকল্পে প্রতিদিন ৪১ জন করে ৩২৮ জন শ্রমিককে কাজ করার কথা ছিল। প্রকল্প সভাপতি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ৩২৮ জন শ্রমিক কাজ করেছে বলে হিসেবও দেন। কিন্তু মাত্র ১১৪ জন শ্রমিক কাজ করে বলে প্রমাণ মেলে। প্রকল্প সভাপতি দুর্নীতির মাধ্যমে শ্রমিক কম দেখিয়ে ২৯ হাজার পাঁচশ’ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় লোহাগড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন আইনে লোহাগড়া থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী। তদন্তে তিনি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। পরবর্তীতে মামলার রায়ে তিনি দন্ডিত হন।
খুলনা গেজেট/এনএম