করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে নির্ধারিত সময়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় দুটি পরীক্ষা দুই মাস পেছানোর পরিকল্পনা করছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত এক যুগ ধরে ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছে। এ বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে এসএসসিতে ৬০ দিন এবং এইচএসসিতে ৮৪ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে জুন-জুলাইয়ে এসএসসি এবং সেপ্টেম্বর অক্টোবরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে তাও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আরও দুই মাস পিছিয়ে যেতে পারে এ দুটি পাবলিক পরীক্ষা।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার অটোপাস দেওয়া হবে না। সর্বোচ্চ নির্ধারিত সময় থেকে দুয়েক মাস পেছাতে পারে পরীক্ষা। এক্ষেত্রে কীভাবে পরীক্ষা হবে সে বিষয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
বুধবার (৫ মে) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, এসএসসি-এইচএসসির জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছিল। জুন-জুলাইয়ে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে সেটি হয়তো দুয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, গতবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যেভাবে পাস করানো হয়েছে, তাকে অটোপাস বলা অন্যায়। এর কারণ পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছিল তারা। এবারের এসএসসি কিংবা এইচএসসির বিষয়টি ভিন্ন। তারা ক্লাসে যেতে পারেনি। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হলেও এবার পরীক্ষায় বসতেই হবে শিক্ষার্থীদের।
এর আগে ৬০ দিন ক্লাস শেষে এসএসসি এবং ৮৪ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল মন্ত্রণালয়। কিন্তু করোনার কারণে সে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে বসেছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি