দলিত জনগোষ্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং সাংবিধানিক অধিকারসহ ৮ দফা দাবি রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে অন্তর্ভূক্তির দাবিতে খুলনা-৩ আসন থেকে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এসএম কামাল হোসেনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দলিত ওয়ার্কিং গ্রুপের উদ্যোগে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারক লিপি গ্রহণ করে এসএম কামাল দলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ৮ দফা দাবীর প্রতি সহমত পোষণ করেন। তিনি আশ্বাস প্রদান করে করেন, নির্বাচনে জয়লাভ করলে দলিত ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর দাবী প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন এবং সংসদে দলিতদের দাবী তুলে ধরবেন।
দাবী সমূহের মধ্যে রয়েছে-দলিত জনগোস্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে দাবীগুলোর মধ্যে বৈষম্য নিরোধ আইন কার্যকর করা এবং এতে দলিত জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা। আসন্ন দ্বাদশ সংসদে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা। জাতীয় সংসদে ও স্থানীয় সরকার এ আসন সংরক্ষণের পাশাপাশি স্টান্ডিং কমিটিতে দলিতদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা ও সংসদীয় ককাস গঠন করা। সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া/ অনগ্রসর জনগোষ্ঠী কারা তা সুনির্দিষ্ট করা এবং পিছিয়ে পড়া/ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর তালিকায় দলিত উল্লেখ করা। দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ঝরে পড়া রোধে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষা ঋণ চালু করা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরী এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দলিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য বিনিয়োগ তহবিল (সহজ শর্তে ঋণ) গঠন করা। মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দলিতদের জন্য কোটা বরাদ্দ করা। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় হরিজন জনগোষ্ঠির জন্য কোটা বরাদ্দ করা, চাকুরী নীতি যুগোপযোগী করাসহ সকল প্রতিষ্ঠানে চাকুরী স্থায়ী করা এবং ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুসারে ঝাড়ুদার/ক্লিনার/সুইপার পদে মোট নিয়োগের ৮০ শতাংশ হরিজন জনগোষ্ঠির কোটার সঠিক বাস্তবায়ন করা এবং আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করা।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সালাম, দৌলতপুর থানা মহিলা লীগের সভাপতি মিতা বাগচি, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, ৩ নম্বর ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ হাসান পিকু, দলিত ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ইসরাত আরা হীরা, মিনা আজিজুর রহমার, সালমা জাহান মনি, এ্যাডঃ মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম শামীম, মোঃ সাবির খান, মানবাধিকার কর্মী অরুন দাশ, শম্পা দাস প্রমুখ।