সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ বছর তেরখাদা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১০১ টি পূজা মন্ডপে সনাতন হিন্দু বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে পূজা শুরু হয়েছে। শুক্রবার মহা সপ্তমী। সকাল থেকেই চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সপ্তমী বিহিত পূজা। এবার দুর্গাপূজা শরৎকালে না হয়ে হেমন্ত কালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কারণ শরৎকালের আশ্বিন মাসটি এবার পঞ্জিকা মতে মল মাস পড়েছে। মল মাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিয়ে, অন্নপ্রাশন, পূজা আচার করে না। তাই দুর্গাপূজা মহালয়ার এক মাস আগে শুরু হলেও পূজা হচ্ছে তারও পরে। এবার করোনার আবহে পূজা হচ্ছে। তাই পূজায় উৎসবের আমেজ নেই। আলোকসজ্জা বর্জন করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলার জন্য সতর্কতামুলক নির্দেশনা রয়েছে।
তেরখাদা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও শাহরিয়ার হক বলেন, এ বছর তেরখাদার ৬টি ইউনিয়নে ১০১ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ হতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ প্রস্তুতি সভায় আলোচিত সতর্কমূলক নির্দেশনা রয়েছে। কোন মন্দিরে মাইক বা উচ্চশব্দের যন্ত্র থাকবে না, প্রত্যেক মন্দিরে দুইটি দরজা ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। সকলকে মাস্ক পরে নিরাপদ দুরত্ব মেনে চলাচল করতে হবে। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
তেরখাদা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অরবিন্দ প্রসাদ সাহা বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে বর্তমান সরকার ও কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি পূজা মন্ডপে সামাজিক দুরত্ব মেনে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহম্মাদ গোলাম মোস্তফা বলেন, পূজা চলাকালীন সময়ে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে তার জন্য মটর সাইকেলে মাইকিং ফোর্স হিসেবে মোবাইল টিম সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে এবং কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে দুর্গোৎসব পালন করার আহবান জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম