খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৮ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ড. শেখ আব্দুল রশিদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে ২ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
  ছয় মামলায় সাবের হোসেনের জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
  দুর্গাপূজার ছুটি বৃহস্পতিবার একদিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
  খুলনায় মাদক মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত

তেরখাদায় নতুন ঘর পেয়ে খুশি ১০ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, কেউ গৃহহীন থাকবে না তারই ধারাহিকতায় তেরখাদায় সমতল ভুমিতে বসবাসরত পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী (রাজবংশী) সম্প্রদায়ের জন্য আধাপাকা ঘর তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আধাপাকা ঘর পেয়ে খুশি তেরখাদার নৃগোষ্ঠীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নের জন্য সহায়তা শীর্ষক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এ কর্মসূচির আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলার ন্যায় তেরখাদা উপজেলায় ১০টি ঘর বরাদ্দ করেছে। বরাদ্দকৃত ঘরগুলো সরেজমিনে বিভিন্ন পর্যায়ে পর্যালোচনা করে তৎকালনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পাল ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মমতাজ বেগম, উপজেলা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমবায় সমিতি লি. এর কমিটি নেতৃবৃন্দ ঘরগুলি বিভাজন করেন।

সারাবিশ্বে বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে নির্মাণ কাজের গতি বেগবান হওয়ায় পরবর্তীতে করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কম হলে তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা, সহকারী কমিশনার ভূমি মমতাজ বেগম, বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার হক ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানার সার্বিক তত্বাবধানে গৃহহীন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১০টি পরিবারের মাঝে সেমিপাকা ঘর নির্মাণের কাজ গুণগত মান সম্পন্ন মালামাল ও দক্ষ মিস্ত্রি দ্বারা কাজটি সম্পন্ন করেন। মাথা গোজার নতুন সেমিপাকা ঘর পেয়ে খুশি তেরখাদার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারগুলো।

উপজেলার নলামারা এলাকার প্রফুল্ল মুনি বলেন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি উপজেলা প্রশাসনকে, তাদের তত্ত্বাবধানে ঘর করায় আমাদের সম্প্রদায়ের সর্বস্থরের জনগন খুশি। প্রশাসনের কারণে আমরা সঠিক সময়ে গুনগত মানের মালামাল ও দক্ষ শ্রমিকের কাজের মাধ্যমে ঘরগুলো বুঝে পেয়েছি। অতীতে এই উপজেলায় এত ভালো মানের কাজ হয়েছে বলে আমার জানা নাই। আগে আমাদের একটি পুরাতন জরাজীর্ণ টিনের ঘর ছিল, আমি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি, ঘর মেরামত করার মত টাকা পয়সা ও সামর্থ ছিল না। নতুন ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি।

তেরখাদা সদরের পশ্চিমপাড়া এলাকার সবুজ রায় জানান, আগে টিনের ছাউনির একটি জরাজীর্ণ দো’চালা ঘর ছিল, পরিবারের লোকসংখ্যা বেশি হওয়ায় আমাদের থাকতে অনেক কষ্ট হত, আমি ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

সদরের উত্তরপাড়া এলাকার সুবিধাভোগী কুমারেশ বালা বলেন, আগে তার একটুকর জমির উপর একটি ভাঙ্গা টিনের ঘর ছিল। আর সেই একটি ঘরে ৩ কন্যা সহ ৫ সদস্য নিয়ে অনেক কষ্টে বসবাস করত। সে ঝড় বৃষ্টির সাথে সংগ্রাম করে পার করেছে দীর্ঘকাল। নতুন ঘর পেয়ে তার পরিবার খুব আনন্দিত। সরকারের পক্ষ থেকে এসব ঘর পেয়ে এত কষ্ট লাঘব হয়েছে তেরখাদা উপজেলার ১০ টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর গৃহহীন পরিবার।

সরকারের পক্ষ থেকে একটি ঘর পেয়েছেন, পেয়েছে মাথা গোজার ঠাই পেয়ে খুশি এসব পরিবারের সদস্যরা। প্রকল্পের সভাপতি উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা বলেন, এটি একটি সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যারা ঘরগুলো পেয়েছেন, তারা হতদরিদ্র। তারা এক সময় বেড়ার ঘরে জীবন যাপন করেছেন, এখন তারা অনেকটাই ভালোভাবে থাকতে পারবেন।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!