খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ মাঘ, ১৪৩১ | ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  ইতালির রোম থেকে ছেড়ে আসা বিমানের একটি ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, নিরাপদে অবতরণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে
  জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
  উত্তরা পূর্ব থানার হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম তিন দিনের রিমান্ডে

তেরখাদায় জমজ শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু, ভাসমান লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতি‌বেদক

খুলনার তেরখাদায় ২ মাস বয়সি মনি ও মুক্তা নামের দুই কন্যা শিশুর মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামের একটি পুকুরে ভাসমানরত অবস্থায় তাদের পাওয়া যায়।

বাড়ীটি ছিল নিহত শিশুদের নানা বাড়ী। তাদের নানার নাম খায়ের শেখ। নিহত শিশুদের বাবার নাম মাসুম বিল্লাহ। তাদের গ্রামের বাড়ী বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী গ্রামে। মাসুম চাঁদপুরে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন, ঘটনার রাতে তিনি গাংনীতে ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, তেরখাদার কুশলা গ্রামে আবদুল খায়ের শেখ মেয়ে কণা খাতুনকে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা গাংনীর মাতারচর গ্রামের মাসুম বিল্লাহ্’র সাথে মুসলিম শরীয়াহ মোতাবেক বিয়ে দেন তিনি। দুই কণ্যা শিশুকে নিয়ে কয়েকদিন আগে বাবার বাড়ী বেড়াতে এসেছিলেন কণা খাতুন। গত বৃহস্পতিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টার দিকে দুই শিশুকে দুধ খাওয়ানোর পর ঘুমিয়ে পড়েন কণা খাতুন। ঘন্টাখানেক পর শিশুদের আর খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। তার ডাক-চিৎকারে ঘুম ভাঙে বাড়ীর অন্যদের। সে সময়ে স্বামী মাসুম বিল্লাহ্ ছিলেন না শ্বশুরবাড়ীতে। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর শিশুদের লাশ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।

তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো: মাসুম কাজী বলেন, তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামের খায়রুজ্জামানের কন্যা কনার সাথে মোল্লারহাট এলাকার মাসুম বিল্লাহর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের তেমন বনিবনা ছিল না। এরপর কনা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে তেরখাদার কুশলা গ্রামে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্বামী। জন্মের পর জমজ শিশু মনি ও মুক্তা নানার বাড়িতেই থাকে। বাচ্চা দু’টি শুধু কান্নাকাটি করত। বৃহস্পতিবার রাত দু’টার দিকে বাচ্চা দু’টি কে খাইয়ে ঘুম পাড়ান কনা। রাতে তার ঘরের দরজা খোলা ছিল। রাত আড়াইটার দিকে কনা ঘুম ভাঙ্গে। খাটে বাচ্চা দু’টিকে আর পাওয়া যায়নি। পরে অনেক স্থানে খোঁজ নেওয়া হয়। তারপর পুলিশকে জানান তারা। পুলিশ ওই রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ নেয়। পরবর্তীতে সকাল ছয়টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে বাচ্চা দু’টির লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে নানী ফাতেমা বেগম ও মামা নুর আলম উদ্ধার করে। পরিবারের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জহুরুল আলম খুলনা গেজেটকে জানান, বাচ্চা দু’টি একই সঙ্গে মারা যাওয়ার বিষয়টি বেশ রহস্যজনক। পরিবারের লোকজনের ব্যবহার সন্দেহ জনক। বাচ্চা দু’টির বয়স দু’মাস ১১ দিন। তারা তো রাতে হেটে পুকুরে যায়নি। তাদের পুকুরে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কারও আচরণে সন্দেহ হলে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!