খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১২ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯১৫
  ময়মনসিংহে ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের মৃত্যু
  এমন রাষ্ট্র গঠন করতে চাই যা নিয়ে দুনিয়ার সামনে গর্ব করা যায়, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
  আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা-বিপণনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

তেরখাদার হাট-বাজারে পরিবর্তন নেই নিত্যপণ্যের দাম

তেরখাদা প্রতিনিধি

তেরখাদার হাট-বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের দামের অস্থিরতা কাটেনি। চাল, ডাল, সয়াবিন তেল, মাছ, মাংসসহ প্রত্যেকটির নিত্যপণ্যই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। গত এক বছর ধরেই চাল অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে। মাস দুয়েক আগে ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বিক্রি হয় চাল।

বিগত সরকারের সময়ে কখনো চাল, কখনো ডিম, কিংবা পেঁয়াজ বা আলু একেক সময় একেকটি নিত্যপণ্য সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থির করা হয়। ভরা মৌসুমেও চড়া থেকেছে চালের বাজার। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পরে ভোক্তারা আশায় বুক বাধলেও চালের বাজার এখনো চড়া। স্বর্না চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজিতে। আঠাশ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। বাসমতি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

কাটেংগা বাজারের চাল বিক্রেতা জোবায়ের হোসেন বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা সবারই পরিবার রয়েছে। তাই দাম কমলে সবার জন্যই ভালো হয়।

জয়সেনা বাজারের মুদি দোকানদার পাচু সাহা বলেন, বাজারে চালের অভাব নেই, তবু দাম কেনো বেশি এটা আমরাও বুঝি না।

অন্যদিকে ইলিশের মৌসুম শুরু হলেও বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। উপজেলা সদরের কাটেংগা, জয়সেনা ও তেরখাদা হাটে ৬৫০ থেকে দুই হাজার টাকা কেজিতে ইলিশ মাছ বিক্রি হয়।

মাছ বিক্রেতা স্বপন বিশ্বাস বলেন, আড়তে মাছের যোগান কম, তাই দাম কমছে না। তবে ইলিশের এমন বাড়তি দাম মেনে নিতে পারছেন না ক্রেতারা।

কাটেংগা এলাকার মাসুদ আলী বলেন, ইলিশ কিনবো বলে বাজারে এসেছিলাম। কিন্তু দাম বেশি বলে হাইব্রিড কৈ মাছ কিনেছি।

তেরখাদা এলাকার শাহিন মোল্যা বলেন, যে টাকা নিয়ে হাটে আসি। খরচ তার থেকে অনেক বেশি পড়ে যায়। সরকার দাম বেধে দেওয়ার পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা থাকতে হবে।

মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে, সোনালী মুরগি ২৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজিতে। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১ হাজার টাকা। ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা হালিতে, দেশি মুরগির ডিম ৭০ টাকা, হাঁসের ডিম ৭০ টাকা।

পেঁয়াজের ঝাঁজ অব্যাহত রয়েছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। রসুন ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। আদা ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা। মুদি বাজারে খোলা সয়াবিন তেল ১৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা লিটার। মুগ ডাল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। মসুরের ডাল ১১০ থেকে ১৪০ টাকা। ছোলার ডাল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। বুটের ডাল ৭৫ টাকা। খোলা আটা ৪০ টাকা কেজি। প্যাকেট আটা ৫০ টাকা। চিনি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। লবণ ৪০ টাকা কেজি।

অন্যদিকে সবজির বাজারে কিছুটা কমেছে কাঁচামরিচের দাম। বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে। তবে কমেনি অন্যান্য সবজির দাম। আলু ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পটল ৪০টাকা। বেগুন ৮০, উচ্ছে ৬০ থেকে ৮০, কচুর মুখি, কাকরোল ৬০, কচুরলতি, বরবটি ৬০, কাচকলা, শসা ৫০, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়া, ধুন্দল ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!