তেরখাদা উপজেলাকে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা, মাদক, জঙ্গি, ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ে মুক্ত রাখার ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টাসহ সরকারের বিভিন্ন সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়াই হবে তার প্রধান কাজ। রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অন-লাইন নিউজ পোর্টাল ’খুলনা গেজেট’ এর প্রতিনিধির সাথে নবাগত ইউএনও তার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে একান্ত স্বাক্ষাতকারে এ কথা বলেন।
নবাগত ইউএনও সাদিয়া ইসলাম বলেন, ‘সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, টিআর, কাবিখা, জিআর এর মত প্রকল্পের বাস্তবায়ন যেন জনস্বার্থে ব্যয় হয় তার সঠিক তদারকির মাধ্যমে দৃশ্যমান করা হবে এবং সরকারের বিভিন্ন সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউএনও অফিসের দার জনগণের জন্য সব সময় উন্মুক্ত থাকবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সেবা যেন প্রকৃত নাগরিকরা পাক তা নিশ্চিত করা হবে। উপজেলার প্রত্যেকটি দপ্তরের অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। তেরখাদা উপজেলাকে নারীর অগ্রযাত্রার বড় বাধা হচ্ছে বাল্যবিয়ে। প্রথমত মেয়ে শিশুর জন্য অধিকার লঙ্ঘন, দ্বিতীয়ত এটি নির্যাতন। সর্বপরি বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ও আইনগত অপরাধ। পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষাগ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে যথাযথ জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারে না মেয়ে শিশু। তার উপর প্রচন্ড মানসিক চাপ তৈরি হয়।
পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব নেওয়ার মত মানসিক শক্তি, সাহস ও দৃঢ়তা অর্জন করতে পারে না সে। বাল্যবিয়ে কিশোর কিশোরির প্রজনন স্বাস্থ্যর জন্যও বিরাট হুমকি। বাল্যবিয়ের ফলে দেশে বিবাহ বিচ্ছেদ, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং পারিবারিক নির্যাতন বেড়ে যাচ্ছে। নারী অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হতে পারে না। পর্যায়ক্রমে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে সমস্যার শিকার হন। তাছাড়াও পরিপূর্ণভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। পূর্ণ বয়সে পৌছেও যোগ্য দক্ষ ও কর্মময় নারী হিসেবে পরিবারে সমাজে ও রাষ্ট্রে যথাযথ ভুমিকা পালন করতে পারে না। তেরখাদা উপজেলাকে অনন্য উচ্চতায় নিতে সাংবাদিক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় সকলের সহযোগিতা চান নবাগত ইউএনও সাদিয়া ইসলাম।
খুলনা গেজেট/এনএম