যশোর ডিবি পুলিশের অভিযানে তিনটি চোরাই ইজিবাইক ও একটি প্রাইভেটকারসহ রায়হান নামে এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর শহরের ঘোপ এলাকার কুইন্স হাসপাতালের সামনে থেকে চুরির পর ১ অক্টোবর শহরতলীর রামনগর থেকে এ গাড়িগুলো উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইজিবাইক চালক শহরতলীর ঝুমঝুমপুর এলাকার কামরুল হাসান ২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় চারজনের নামে মামলা করেন। সোমবার (০২ অক্টোবর) রায়হান ইজিবাইক চুরির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। সে শহরতলীর রামনগর ধোপাপাড়ার ইমান আলীর ছেলে।
এ মামলার পলাতক অন্য আসামিরা হলো, শহরতলীর রামনগর ধোপাপাড়ার শাকের আলীর ছেলে ইউসুফ আলী, সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের তাহের আলী গাজীর ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক ও সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জয়নগর গ্রামের জামির হোসেনের ছেলে বাবলু হোসেন।
এ মলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বলেছেন, ইজিবাই চালক কামরুল হাসান গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইজিবাইকটি রেখে কুইন্স হাসপাতালের মধ্যে যাত্রী আনতে যান। এর ১০ মিনিট পর ফিরে এসে দেখেন তার ইজিবাইকটি নেই। সাথে সাথে স্থানীয় লোকজন ও ডিবি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। ১ অক্টোবর ডিবি পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পান একটি প্রাইভেটকারসহ দু’জনকে পুলিশ আটক করেছে। সেখানে গিয়ে আটক রায়হানকে চিনতে পারেন এবং তার স্বীকারোক্তিকে রামনগর গ্রামস্থ মোস্তাক হোসেনের চার্জিং পয়েন্ট থেকে কামরুল হাসানের ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়। একই সাথে সেখান থেকে আরো দুটি চোরাই ইজিবাইক এবং একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা দিয়ে সোমবার গ্রেপ্তার রায়হানকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এসময় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদের আদালতে ইজিবাইক চুরির কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন রায়হান। এরপর বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি