খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তির রিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে সে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২ এর বিচারক নয়ন বিশ্বাস এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আসামির স্ত্রী সুমী বেগম দাবি করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২ টায় ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের বালাইঝাকি গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আসামি মোহাম্মাদ আলী ভিকটিমের (১৪ বছর) প্রতিবেশী। বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় প্রায়ই ভিকটিমের বাড়ি মোবাইল ফোন চার্জ দিত সে। ওই সময় মোবাইলে চার্জ দেওয়ার কথা বলে ভিকটিমকে ডেকে নেয় আসামি। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ পেয়ে ষাটোর্ধ্ব মোহাম্মাদ আলী ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ওই ঘটনার পর মায়ের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে সে। পরে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং ১৬। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর আটক করা হয় আসামি মোহাম্মাদ আলীকে। প্রাথমিকভাবে তিনি স্বীকার করেন।
অপরদিকে, আসামি মোহাম্মাদ আলী জানান, মেয়েটি আমার নতনী বয়সী। সে আমাকে নানা বলে ডাকে। জমিজমা বিরোধের জের ধরে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার সময় আমার ছেলের মা বাড়িতে ছিল না। আমি গ্রামীণ তরমুজের চাষ করি। প্রায় সে আমার বাড়িতে এসে তরমুজ খায় এবং নষ্ট করে। সে আমাকে জড়িয়ে ধরে নানা ধরনের অপ্রীতিকর কথা বলতে থাকে। আমি একপর্যায়ে তাকে সরিয়ে দিই।
আসামির স্ত্রী সুমি বেগম জানান, স্থানীয় দলিল উদ্দিন নামক এক ব্যক্তির নিকট থেকে তিন বছর ধরে তারা ৩০ শতক জমি নিয়ে ঘের ও তরমুজের চাষাবাদ করে আসছে। এ জমি নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে বিবাদ হতে থাকে। এ বিবাদের সুত্র ধরে তাকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রথমে তার ছেলে গোলাম রসুলকে কাউন্সিলে নিয়ে আসা হয়। এরপর তার স্বামীকে ধরে আটক করা হয়। এটা অন্যায়। আমাকে জমি থেকে উৎখাত করার জন্য তারা এ ফাঁদ পেতেছে। আমার স্বামীকে জোর করে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, থানায় অভিযোগ আসার পর তদন্তের দায়িত্ব আমার ওপর ন্যাস্ত করা হলে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। ধষণের ঘটনার পর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। মেডিকেল রির্পোট আসার পর বিষয়টি সঠিকভাবে জানা যাবে