ডুমুরিয়া উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলু’র বিরুদ্ধে পুরাতন কাজ দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন তারই পরিষদের ছয় মেম্বর। ঘটনার তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দিয়েছেন লিখিত অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-’২১ অর্থ বছরের ১% ও এলজিএসপি হতে বরাদ্দ হয় ২০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ওই টাকায় কাজের জন্য গত ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর পরিষদ ভবনে চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলুর সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত মতে, পরিষদের মেম্বররা এলাকায় উন্নয়নের জন্য কাজের প্রকল্প তালিকা তুলে দেন ইউপি সচিবের হাতে। কিন্তু চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলু প্রকল্পের সকল কাগজপত্র আমলে না নিয়ে নিজের পছন্দমত প্রকল্প দেন এবং উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের উপ-সহকারি মিজান ও মঞ্জুর মাধ্যমে কাজের নকশা করেন। আর ওই নকশা দেখিয়ে তিনি চেকের মাধ্যমে সমুদয় অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করেন। বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ সরদার, আব্দুল গফফার গাজী, রিয়াজুল ইসলাম, নিরোধ বন্ধু বিশ্বাস, সরদার জাহাঙ্গীর করিব ও শেখ ইকবাল হোসেন এই ছয় মেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারীরা সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব উক্ত মিটিং-র সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে নিজের মত করে সচিবের নিকট থেকে সকল রেজুলেশন খাতা ও আমাদের দেওয়া কাজের তালিকা পরিবর্তন করে প্রকল্প নিয়েছেন। এছাড়া তিনি বিগত অর্থ বছরে সাজিয়াড়ার দেলভিটা পুজা মন্দিরের ৪০ হাজার, সাজিয়াড়ার সালাম মাঝির বাড়ির সামনে মসজিদের ৪০ হাজার, মির্জাপুর মঠ মন্দিরের ৪০ হাজার ও আম্ফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে টিন বিতরণের নামে ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন বলে আরও অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলু বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং ওই মেম্বররা কাজ না করে টাকা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি তাদের সেই অন্যায় প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় এখন তারা মিথ্যা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের ৬ জন ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারি টাকা আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেয়েই বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আমার কার্যালয়ে বসেছিলাম। আলোচনার ভিত্তিতে মিমাংসার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান ।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি