খুলনার ডুমুরিয়ায় এক হতদরিদ্র কৃষকের দুই হাজার ফুলকপি গাছের কপি কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। শনিবার রাতে উপজেলার উত্তর মাগুরাঘোনা গ্রামের পূর্বপাড়া মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
মাগুরাঘোনা গ্রামের মোঃ সোবহান আলী শেখের ছেলে কৃষক জিয়াউর রহমান শেখ জানান, মোসলেম শেখ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে বছরে ২০হাজার টাকা হারি হিসেবে এক বিঘা জমি রাখি। এবছর ১২ হাজার টাকা খরচ করে ২হাজার ফুলকপি গাছ লাগিয়েছি। আশা করেছিলাম ৫৫/৬০ হাজার টাকা বিক্রি করবো। প্রতিটি কপি এক থেকে দেড় কেজি হয়েছে। সবেমাত্র কফি কাটা শুরু করেছিলাম। কিন্তু গত শনিবার দিবাগত রাতে কে বা কারা কপি গাছ থেকে কপি গুলো কেটে দিয়েছে। তারা যদি গোড়া থেকে গাছসহ কেটে দিতো, তাহলে কপি গুলো বিক্রি করা যেতো। এমনভাবে কপি গুলো কেটেছে যে,তা আর বিক্রি করা যাবে না।
তিনি আরও জানান, আমি জমিটি হারিতে নেওয়ার আগে আনার আলী মোড়লের ছেলে মোজাফফর হোসেন মোড়লের কাছে বন্দক রাখা ছিল। জমির মালিক মোসলেম উদ্দিন মোজাফফর হোসেনকে টাকা ফেরত দেওয়ার সময় তিনি ভালো চোখে দেখেন নি। ইতোমধ্যে তার কাজকর্মেও কিছুটা প্রমান পাওয়া গেছে। সর্বশেষ তার এই এত বড় ক্ষতি। সহায় সম্বল যা ছিল তার সবকিছু এই কপি ক্ষেতেই ব্যয় করেছি। এখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
এঘটনায় তিনি ডুমুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে মাগুরাঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম হেলাল বলেন, জিয়াউর রহমান একজন হতদরিদ্র কৃষক। তার সহায় সম্বল যা ছিল সবকিছু খরচ করে এই জমিতে ফুলকপি চাষ করেছিল। কিন্তু রাতের আঁধারে এভাবে গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে। সকালে আমি জিয়াউর রহমানের ফুলকপি ক্ষেতে গিয়ে তার কান্না দেখে আমি সহ শতশত গ্রামবাসী চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।
খুলনা গেজেট/ টিএ